সৌরভ মাজি, বর্ধমান: গায়ের রং কালো। এই ছিল তার ‘অপরাধ’। যার চরম মূল্য দিতে হল কালনার গৃহবধূকে। নাবালিকা বধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার কৃষ্ণদেবপুরে। অভিযোগ, ওই বধূকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুনন্দা হালদার দাস(১৬)। মঙ্গলবার সকালে শ্বশুবাড়িতে থেকেই তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। এদিনই মৃতদেহ কালনা মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
[প্রাক্তন সরকারি কর্মীর ‘গান্ধীগিরি’, ১ ঘণ্টার অনশনেই মিলল বকেয়া পিএফ]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত আগস্ট মাসে কৃষ্ণদেবপুরের কেশব হালদারের মেয়ে সুনন্দার সঙ্গে বিয়ে হয় এলাকারই অরিজিৎ দাসের। পেশায় রাজমিস্ত্রি অরিজিতকে ভালোবেসেই সুনন্দা বিয়ে করেছিল বলে দাবি তার পরিবারের। অভিযোগ, এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি অরিজিতের পরিবারের লোকজন। সুনন্দার গায়ের রং কালো বলেই আপত্তি ছিল তাদের। এই নিয়ে নাবালিকাকে নিত্য গঞ্জনাও শুনতে হত। মঙ্গলবার ভোরে অরিজিৎ তার শাশুড়ি জয়ন্তী দাসকে ফোন করে তাদের বাড়ি আসার জন্য বলে। কিন্তু কেন যেতে হবে তা কিছুতেই বলেনি। সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ জয়ন্তীদেবীরা গিয়ে দেখেন মেয়ে ঘরে পড়ে রয়েছে। কোনও সাড়া নেই। কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[রক্ষকই ভক্ষক, চলন্ত ট্রেনে তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ জওয়ানের বিরুদ্ধে]
জয়ন্তীদেবী বলেন, “আমার মেয়ে কালো বলে অত্যাচার করা হত। কালো বলেই আমার মেয়েকে খুন করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।” তাঁর অভিযোগ, মেয়ের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে। তবে এদিন শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কালনা থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। মৃতের পরিজনরা জানিয়েছেন, শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর তাঁরা অভিযোগ দায়ের করবেন। অভিযোগ পেলেই তদন্ত শুরু করার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
[জঙ্গলে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রতিবেশীর শিশুকন্যাকে ধর্ষণ, গণপিটুনি অভিযুক্তকে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.