অংশুপ্রতীম পাল, খড়গপুর: বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা বাদ দিলে, মোটের উপর শান্তিতেই মিটল সবং বিধানসভাকেন্দ্রের উপনির্বাচন। ভোট পড়ল প্রায় ৮৫% । আগামী ২৪ ডিসেম্বর ফল ঘোষণা। সবংয়ে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল ও সিপিএম প্রার্থী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় রীতিমতো হতাশ বিজেপি প্রার্থী। বস্তুত, ভোটগ্রহণ চলাকালীন দুপুরে কলকাতা নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে সামনে বিক্ষোভও দেখান পদ্মশিবিরের কর্মী-সমর্থকরা।
[ছুটিতে দিঘার হোটেলের ভাড়া আকাশছোঁয়া, কোন চক্র সক্রিয় জানেন?]
এদিন মোটের উপর শান্তিতেই মেটে ভোটগ্রহণ পর্ব। ভোট চলাকালীন বলপাই গ্রামপঞ্চায়েতের শঙ্খডিয়া এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পানপাড়ায় আবার তৃণমূলের হুমকিতে ২৫০টি পরিবার ভোট দিতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। গণ্ডগোল হয়েছে ভেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কয়েকটি বুথেও। তৃণমূল সাংসদ মানস ভুঁইয়ার অভিযোগ, বিষ্ণুপুর গ্রামপঞ্চায়েতের পূর্ববাঁধ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সিপিএম কর্মীরা। তৃণমূল কর্মীদের বাধা দিলে, উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে সাত রাউন্ড গুলি চালায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী। যদিও গুলি চলেনি বলে দাবি করেছেন খড়গপুরের মহকুমাশাসক সুদীপ সরকার। এই ঘটনাগুলি বাদ দিলে ভোট শান্তিপূর্ণই বলা চলে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সবং বিধানসভাকেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮৫ শতাংশ। যা গতবারের তুলনায় সামান্য কম।
[সৈকতে একসঙ্গে ৪ হাজার মহিলার শঙ্খধ্বনি, গিনেসে নাম চায় দিঘা]
সবংয়ে উপনির্বাচনে মানস ভুইঁয়ার স্ত্রী গীতারানী ভুইঁয়াকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএমের হয়ে লড়ছেন রীতা মণ্ডল(জানা)। জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী দুজনেই। তবে সবং উপনির্বাচনে ভোট নিয়ে হতাশ বিজেপি প্রার্থী অন্তরা ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন। বস্তুত, দুপুরে ভোটগ্রহণ চলাকালীনই কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভও দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পথ অবরোধও হয়। আগামী ২৪ ডিসেম্বর সবং বিধানসভাকেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা।
[ভিলেন জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, ডিসেম্বর শেষে ঘিরে ধরে কুয়াশা যখন]
বাংলার রাজনীতি সবং বিধানসভা কেন্দ্রটি মানস ভুঁইয়ার গড় বলে পরিচিত। একবার বাদে ১৯৮২ সাল টানা এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে তৃণমূলের সমর্থনে সবং থেকে কংগ্রেসে টিকিটে জিতেছিলেন মানস। ২০১৬ সালে অবশ্য এককভাবে এই আসনটি ধরে রেখেছিল কংগ্রেস। সেবার বামেদের সমর্থনে জোট প্রার্থী ছিলেন মানস ভুঁইয়া। তবে এখন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। প্রবীণ এই নেতাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে শাসকদল। মানসের ছেড়ে যাওয়া সবং বিধানসভাকেন্দ্রে উপনির্বাচন হল বৃহস্পতিবার।
ছবি: সৈকত পাঁজা