শুভঙ্কর বসু: উচ্চ আদালতে ধাক্কা খেলেন বিশ্বভারতী (Vishva Bharati) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বরখাস্ত হওয়া প্রাক্তন উপাচার্য সবুজকলি সেন ও রেজিস্ট্রার সৌগত চট্টোপাধ্যায়ের যাবতীয় আর্থিক বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। তাতে সাময়িক স্বস্তিতে প্রাক্তন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার। তবে তাঁদের দায়ের করা মামলা এখনও চলবে।
ঘটনাটা ঠিক কী? ২০১৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদটি খালি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ডিরেক্টর সবুজকলি সেনকে উপাচার্য পদে বহাল করা হয়। ওই বছর ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করলেও সেই মাসের ২৪ তারিখে তাঁর কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, এর আগে পরিচালন বৈঠক হলেও ওই পদে তাঁর বহাল থাকা নিয়ে ভোটাভুটি হয়নি। এরপর মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে তাঁকে সাময়িকভাবে উপাচার্য পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কিন্তু বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই সবুজকলি সেনকে বরখাস্ত করা হয়। একই পদক্ষেপ নেওয়া হয় রেজিস্ট্রার সৌগত চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও। এরপর এঁদের দু’জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়৷ ইতিমধ্যে অবশ্য সবুজকলি সেন অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু কেন তাঁকে বেআইনিভাবে বরখাস্ত করা হল, এই প্রশ্ন তুলে উপাচার্যের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালতের দ্বারস্থ হন রেজিস্ট্রার সৌগত চট্টোপাধ্যায়ও।
সেই মামলাতেই বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনের যাবতীয় আর্থিক বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। এতেই আপাতত স্বস্তি পেলেন সবুজকলি সেন, সৌগত চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও এই মামলার দু’পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চার সপ্তাহের মধ্যে উভয়পক্ষকে হলফনামা দিতে হবে। তারপর আবার এই মামলার শুনানি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.