সোমনাথ পাল, বনগাঁ: রাজ্যো ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। এবার ছাড় পেলেন না ক্যানসার আক্রান্ত রোগীও। প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁকে বেধড়ক পেটাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর গোপালনগর থানার নতুনগ্রামে। অভিযোগের তির শাসকদলের দিকে। আক্রান্ত স্বপন হালদার এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
[রেকর্ড নম্বর দৃষ্টিহীন পড়ুয়াদের, খুশির হাওয়া নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে]
রাজনীতি বড় বালাই। হিংসা , হানাহানি, প্রতিশোধ স্পৃহা, সংঘর্ষ , মারধর- পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকে এসবেরই সাক্ষী থাকতে হয়েছে এই বাংলাকে| হিংসার আঁচ রয়েছে ভোটের পরেও। সম্প্রতি পুরুলিয়ায় পরপর দুই বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে রীতিমতো সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও রাজ্যে আসছেন দুই কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। এরই মধ্যে আরও একটি ঘটনা অস্বস্তি বাড়াতে চলেছে শাসক দলের।
[অভাবকে জয়, মাধ্যমিকে ৬৭৩ পেয়ে বসতির ঘুপচি ঘরে সূর্যের আলো এনেছে রবি]
এবার হিংসার হাত থেকে রেহাই পেলেন না মরণাপন্ন ক্যানসারের রোগীও। অভিযোগ, বিজেপিকে সমর্থন করায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের রোষের মুখে পড়তে হল স্বপন হালদারকে। প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁকে মারধর করলেন এলাকারই তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান কাজলের মণ্ডলের স্বামী শত্রুঘ্ন মণ্ডল। গত মঙ্গলবার স্থানীয় সুভাষিনী বিদ্যালয়ের সামনে স্বপনবাবুর উপর চড়াও হয় শত্রুঘ্ন মণ্ডল ও তাঁর দলবল। প্রথমে তাঁকে বিজেপি ছাড়তে হুমকি দেওয়া হয়, তা না মানলে তাঁর উপর এলোপাথাড়ি কিল, চড়, ঘুসি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় কোনওরকমে পালিয়ে রক্ষা পান স্বপনবাবু। শুধু তাই নয়, প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে হেনস্তা করা হয় স্বপনবাবুর স্ত্রী অপর্ণা হালদারকেও। স্বপনবাবুর গলার টিউমারে আঘাত লাগায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন তিনি।
[পুরুলিয়ায় মৃত দুই দলীয় কর্মীর পরিবারকে নিয়ে অবস্থানে বসল বিজেপি]
শারীরিক অসুস্থতার কারণে বেশ কয়েক বছর কোনও রাজনৈতিক দলের সমাবেশ বা মিছিলে যোগ দেননি স্বপনবাবু| তবে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিজেপি সমর্থক হিসেবেই পরিচিত তিনি। স্বপনবাবুর স্ত্রী অপর্ণা হালদার অভিযোগ করছেন, তাঁর স্বামীকে বিজেপি ছাড়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই হুমকি দিত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্বপনবাবুকে মারধরের পরেও অত্যাচার থামেনি দুষ্কৃতীদের। নিয়মিত তাদের খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন অপর্ণা। একদিকে, মরণাপন্ন স্বামীর চিকিৎসা, অন্যদিকে দুষ্কৃতীদের হুমকি- এর মধ্যে পড়ে রীতিমতো নাকানিচোবানি খাচ্ছেন অসহায় অপর্ণাদেবী। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের শাস্তি চেয়ে গোপালনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। যদিও, পুরো ঘটনাটিই অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।