Advertisement
Advertisement

Breaking News

পড়ে রয়েছে মেটাল ডিটেক্টর, চেকিং ছাড়াই হলে ঢুকছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা

পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন যাতে না ঢোকে, তাই এই পদক্ষেপ নেয় পর্ষদ।

Candidates are entering without checking to the hall
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:March 5, 2019 8:16 pm
  • Updated:March 5, 2019 8:16 pm

ধীমান রায়, কাটোয়া: কাটোয়া শহরে সাতটি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটিতে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের চেকিং করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার পর উচ্চমমাধ্যমিকে মোবাইল নিয়ে সতর্কতার জন্যই এই ব্যবস্থা নেয় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। কিন্তু মেটাল ডিটেক্টর হাতে ধরে চেকিংয়ের কাজে গেটে দাঁড়াতে ‘সন্মানে’ লাগছে সংসদ মনোনীত প্রতিনিধিদের। তাই সিভিক ভলান্টিয়াররা জবাব দেওয়ার পর থেকে মেটাল ডিটেক্টরের চেকিং ছাড়াই পরীক্ষার্থীরা ঢুকছেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। এমনই চিত্র ধরা পড়েছে কাটোয়ায়। স্বভাবতই স্থানীয়রা সরকারি পদক্ষেপ নিয়ে রসিকতা করে বলতে শুরু করেছেন, ‘বজ্র আঁটুনির ফস্কা গেরো’।

মাধ্যমিক পরীক্ষায় পর পর সাতদিনেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। পরীক্ষা শুরুর অব্যবহিত পরেই হোয়াটসআ্যপ গ্রুপে ছড়িয়ে পড়েছিল প্রশ্নপত্র। হাজার চেষ্টা করেও তা রুখতে পারেনি মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারপরেই শিক্ষা দপ্তর ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ঠিক হয় পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না মোবাইল ফোন। এমনকী পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছেও মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তাদের প্রতি কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোবাইল নিয়ে কেউ পরীক্ষার হলে ঢুকছেন কিনা তার নজরদারির জন্য প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়।

Advertisement

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে কাটোয়া শহর এলাকায় মোট ৭টি পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটি পরীক্ষাকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বিবেচনা করে সেগুলিতে দেওয়া হয়েছিল মেটাল ডিটেক্টর। কাটোয়া কাশীরাম দাস ইন্সটিটিউশন, জানকীলাল শিক্ষাসদন, ভারতীভবন উচ্চবিদ্যালয়, রামকৃষ্ণ বিদ্যালয় এবং কাটোয়া ডিডিসি গার্লস হাইস্কুল। এই পাঁচটি কেন্দ্রের জন্য পাঁচটি মেটাল ডিটেক্টর দেওয়া হয়েছে। যা দিয়ে পরীক্ষার্থীদের কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকছে কিনা তা দেখা হয়।

Advertisement

‘ডিভোর্স’ এড়াতে শিবরাত্রিতে এই মন্দিরে আসেন দম্পতিরা ]

স্থানীয়রা জানিয়েছেন পরীক্ষা শুরুর দিনে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেকিংয়ের কাজ ঠিকঠাকই চলেছিল। দ্বিতীয় পরীক্ষার দিন থেকেই দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করেই তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। মেটাল ডিটেক্টর কার্যত পড়েই রয়েছে। এদিন কাশীরাম দাস ইন্সটিটিউশন এবং জানকীলাল শিক্ষাসদনে মঙ্গলবার দেখা গেল এমনই দৃশ্য। জানা গিয়েছে, সংসদ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সংসদ মনোনীত প্রতিনিধিদের দুজন করে পরীক্ষাকেন্দ্র পিছু এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে প্রথম দিনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়েই মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং করা হয়। সংসদ প্রতিনিধিরা গেটে দাড়িয়ে থেকে তার তদারকি করেন। কিন্তু দ্বিতীয় দিন থেকেই পুলিশ থেকে নিষেধ করে দেওয়ায় সিভিক ভলান্টিয়াররা আর মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিংয়ের দায়িত্ব নিতে চাননি। সংসদ মনোনীত প্রতিনিধিরাও মেটাল ডিটেক্টর হাতে তুলতে চাইছেন না।

শিক্ষকদের একাংশ জানিয়েছেন সংসদ মনোনীত প্রতিনিধিরাও কোনও না কোনও স্কুলের শিক্ষক। তারা পুলিশের মতো মেটাল ডিটেক্টর হাতে চেকিং করতে অসম্মানীত বোধ করায় সেই দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। কাশীরাম দাস ইন্সটিটিউশনের দায়িত্বে থাকা এক সংসদ প্রতিনিধি বলেন, “আসলে মেশিন নিয়ে চেকিং করার জন্য আমাদের কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। তাই কীভাবে চেকিং করতে হয় তা সঠিক জানি না। তবে পরীক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখে নিচ্ছি।” কাশীরাম দাস বিদ্যায়তনের প্রধান শিক্ষক পিন্টু কুমার সিংহ বলেন, “আমাদের স্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির দায়িত্বে কারা থাকবেন তা নির্দিষ্ট করে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। তবে আমাদের স্কুলে ১৪টি রুমেই রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। তাই পরীক্ষাহলের ভিতর এমনিতেই কড়া নজর রয়েছে।” কাটোয়ার পাঁচটি স্কুলকে কোন হিসাবে স্পর্শকাতর বিবেচনা করে সেগুলিতে মেটাল ডিটেক্টর বরাদ্দ করা হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ওই পাঁচ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।

ছবি: জয়ন্ত দাস।

অগ্নিদগ্ধ ধর্ষিতা জাপটে ধরায় পুড়ে মৃত্যু অভিযুক্ত যুবকের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ