Advertisement
Advertisement

Breaking News

Anubrata Mandal

Anubrata Mandal: ‘আমার নানা শারীরিক সমস্যা, বিবেচনা করুন’, আসানসোল আদালতে খারিজ অনুব্রতর আরজি

১০ দিনের সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল।

CBI court in Asansol dismisses Anubrata Mandal's plea to allow bail and orders for 10 days custody | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 11, 2022 6:16 pm
  • Updated:August 11, 2022 8:03 pm

শেখর চন্দ্র, আসানসোল: আদালতে একাধিক শারীরিক সমস্য়ার কথা বলেও রেহাই মিলল না। গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেপ্তার অনুব্রত মণ্ডলকে ১০ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করার পর বিকেলে পেশ করা হয় আসানসোলের আদালতে। এজলাসে তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদনই জানাননি। আর অনুব্রত (Anubrata Mandal) নিজে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নানা সমস্যার কথা বলে বিবেচনার কথা বলেন। কিন্তু তাতেও সিবিআই হেফাজত এড়ানো সম্ভব হল না। 

আদালত কক্ষে সিবিআই বনাম অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীর সওয়াল-জবাবে যতটুকু জানা গিয়েছে, সেই অনুযায়ী, এদিন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বীরভূমের তৃণমূল (TMC) সভাপতি বিচারককে বলেন, ”আমার ফিশ্চুলা আছে, হার্টের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। নানা শারীরিক সমস্যা। শরীর একেবারেই ভাল নেই। আমার কথা বিবেচনা করুন দয়া করে।” কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। ২০ আগস্ট পর্যন্ত তাঁর সিবিআই হেফাজত। যদিও সিবিআই ১৪ দিনের জন্য তাঁকে হেফাজতে চেয়েছিল।  

Advertisement

[আরও পড়ুন: মুদি দোকানি থেকে বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’, কীভাবে উত্থান অনুব্রতর?]

অনুব্রতর আইনজীবী জানান, তিনি জামিনের আবেদন জানাননি। যেভাবে জনগণ এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, তাতে জামিনের আবেদন খারিজ হলে বলার কিছু থাকবে না। ফলে অনুব্রতকে হেফাজতে পেতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি সিবিআইয়ের। আগামী ১০ দিন তাঁকে হেফাজতে নিয়ে গরু পাচার মামলার নানা গোপন তথ্য জানার চেষ্টা করবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। বিশেষত দশবার তলবের পরও যখন অনুব্রত গরহাজির ছিলেন, তদন্ত সহযোগিতা করেননি, সেখানে তাঁকে হেফাজতে পেয়েই সূত্র পাওয়ার সুযোগ একেবারেই ছাড়বে না সিবিআই। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, চিকিৎসার জন্য কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে ব্যবস্থা করতে হবে। যদি শরীর খারাপ হয়ে থাকে সঙ্গে দু’জন আইনজীবী তাঁর দেখাশোনা করার জন্য যখন ইচ্ছা যেতে পারেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জুতো হাতে ‘চোর’ স্লোগান, আসানসোল আদালতে অনুব্রত ঢুকতেই বিক্ষোভ বাম-বিজেপির]

আসলে গরু এবং কয়লা পাচার কাণ্ডের কিনারা করতে কেন্দ্রীয় সংস্থার মূল লক্ষ্য, আর্থিক লেনদেনের উৎস খুঁজে বের করা। তার জন্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জালে এনে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দ্রুত সেসব উত্তর খুঁজে চার্জশিট পেশ করতে বদ্ধপরিকর সিবিআই, ইডি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ