Advertisement
Advertisement

Breaking News

Anubrata Mandal

সহযোগিতা করছেন না, জেলে অনুব্রতকে জেরার পর দাবি CBI আধিকারিকের

জেরা করা হল সায়গলকেও।

CBI questions Anubrata Mandal, alleges TMC leader is not cooperating | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:August 30, 2022 4:42 pm
  • Updated:August 30, 2022 4:47 pm

শেখর চন্দ্র, আসানসোল: জেলের অন্দরে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) এবং তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা করল সিবিআই। মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় আধঘণ্টা দুজনকে আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তবে অনুব্রত মণ্ডল তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে দাবি সিবিআই আধিকারিকদের। উল্লেখ্য, সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনও তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না বলে জানিয়েছিল সিবিআই।

এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ সিবিআইয়ের (CBI) চার আধিকারিক পৌঁছে যায় আসানসোলের বিশেষ সংশোধোনাগারে। সেই দলে ছিলেন গরুপাচার তদন্তের আইও সুশান্ত ভট্টাচার্যও। তবে দেখা যায়, একজন আধিকারিক জেরা করতে জেলের অন্দরে ঢোকেন। বাকিরা ফিরে যান। জেল সূত্রে খবর, প্রথমে সায়গল হোসেনকে অন্য একটি কক্ষে তলব করা হয়। তাঁকে ১৫ মিনিট মতো জেরা করা হয়। এরপর আলাদাভাবে ২০ মিনিট অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করা হয়। ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ জেল থেকে বেরিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: SSC দুর্নীতি: দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিলাসবহুল হোটেল ‘উপহার’ প্রসন্নর, তাজ্জব সিবিআই]

তদন্তকারী আধিকারিকের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান অনুব্রত কি তদন্তে সহযোগিতা করছেন? জবাবে একটিমাত্র শব্দ খরচ করেন সিবিআই আধিকারিক- ‘না’। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছিল অনুব্রতর বিরুদ্ধে। জেলেও তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে স্পষ্ট করে দিলেন সিবিআই আধিকারিক। এরপর তদন্তকারী আধিকারিক সোজা চলে যান আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। এদিন কয়লা পাচার মামলায় ধৃত ইসিএল আধিকারিকদের আদালতে পেশ করা হয়েছিল। ফলে আদালতে হাজির ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। মনে করা হচ্ছে, আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন সিবিআই তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, মাত্র ১ দিন পর অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর সিবিআই আদালতে তোলা হবে সায়গল হোসেনকে। এদিন তাঁকে জেরা করে মেলা তথ্য-নথি আদালতে জমা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

এদিন অনুব্রত ও সায়গলকে কী কী প্রশ্ন করা হয়? সূত্রের খবর, বোলপুরে উদ্ধার হওয়া নামী-বেনামী সম্পত্তি, অনুব্রতকন্যা সুকন্যার নামের বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। মনে করা হচ্ছে, এদিন এই বিষয়গুলি নিয়েই অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এমনকী, সায়গলের নামে ৪৯টি ডিড উদ্ধার হয়েছে। সেই সম্পত্তির মালিক কি সায়গল নাকি বকলমে অনুব্রতই, এদিন তা জানার চেষ্টা করে সিবিআই কর্তারা।

[আরও পড়ুন: অনুব্রতকে জামিন না দিলে বিচারকের পরিবারকে ফাঁসানোর হুমকি! গ্রেপ্তার বর্ধমানের আইনজীবী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ