Advertisement
Advertisement
CBI

কয়লা পাচার কাণ্ডে বাঁকুড়ার পুলিশ আধিকারিক অশোক মিশ্রকে তলব সিবিআইয়ের

দুঁদে এই পুলিশ অফিসারকে কেন বারবার তলব?

CBI summons Bankura cop Ashok Mishra | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 11, 2021 11:00 am
  • Updated:March 11, 2021 12:33 pm

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ফের সিবিআইয়ের তলব বাঁকুড়ার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অশোক মিশ্রকে। দুঁদে এই পুলিশ অফিসারকে কেন বারবার তলব? তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

[আরও পড়ুন: সকাল থেকেই আকাশের মুখভার, আগামী দু’দিন বৃষ্টিতে ভাসতে পারে রাজ্যের একাধিক জেলা]

মাসখানেক আগে একাধিকবার সমন পাঠানোর পর তিনি কলকাতায় সিবিআইয়ের দপ্তরে হাজিরা দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদ চলেছিল প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে। সেবারে আইসি’র জবাবে কয়লা এবং গরু পাচার নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তরে সন্তুষ্ট হয়েছিলেন সিবিআই কর্তারা। অন্তত এমনটাই জানিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। এবার ভোটের মরশুমে ফের বাঁকুড়ার সদর থানার এই আধিকারিককে তলব করল সিবিআই।

Advertisement

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হচ্ছে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে। ইতিমধ্যেই মিটিং মিছিল প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির। তারমধ্যে আইসিকে সিবিআইয়ের তলবে থরহরিকম্প বাঁকুড়ার পুলিশ প্রশাসন। পুলিশের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে ভোটের প্রচার প্রক্রিয়ায় আইনশৃঙ্খলায় কে নজরদারি চালাবেন? সেই ব্লু-প্রিন্ট তৈরির কাজ কে করবে? পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাওকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি। বাঁকুড়ার শালতোড়া, মেজিয়ায় সরেজমিনে তদন্তে কয়েকদফা পরিদর্শন করে গিয়েছেন সিবিআই অধিকারিকরা। উল্লেখ্য, মেজিয়া ব্লকেই সরকারি কালিদাসপুর কোলিয়ারি রয়েছে। তার আড়ালেই কয়লা পাচারচক্রের মাফিয়ারাজ শুরু হয়েছিল এই জেলায়। এই চক্রের সঙ্গে আইসির যোগাযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু সিবিআইয়ের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সকাল থেকেই আকাশের মুখভার, আগামী দু’দিন বৃষ্টিতে ভাসতে পারে রাজ্যের একাধিক জেলা]

সদ্য কয়লা পাচার কাণ্ডে অনুপ মাজি ওরফে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিবিআই। এই মর্মে সহযোগিতা চেয়ে রাজ্যের চার জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারদের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। বর্ধমান, পুরুলিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও বাঁকুড়ার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চার জেলায় অন্তত ৭০টি জায়গায় লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এই মর্মে জেলাশাসকদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ