Advertisement
Advertisement

পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কমিশন, রোষের মুখে একাধিক জেলার পুলিশ সুপার

বৈঠকে গড় হাজির ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার৷

CEC raps Bengal top cops
Published by: Tanujit Das
  • Posted:February 2, 2019 10:26 am
  • Updated:February 2, 2019 10:55 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা৷ সূত্রের খবর, বৈঠকে একাধিক বিষয়ে রাজ্যে পুলিশের কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি৷ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের রোষের মুখে পড়তে হয়, বেশ কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপারদের৷ ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন না কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার৷ সে বিষয়েও নাকি ক্ষোভ উগরে দেন সুনীল অরোরা৷ সর্তক হওয়ার বার্তা দেওয়া হয় এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মাকেও৷

[হতাশা ঝেড়ে দলীয় কর্মীদের ব্রিগেডে আসার বার্তা বুদ্ধদেবের ]

Advertisement

এ দিনের বৈঠকে মুখ নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের ফুলবেঞ্চ রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের কাছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপের খতিয়ান চান৷ সূত্রের খবর, কমিশনের হাতে সঠিক অপরাধের খতিয়ান তুলে দিতে অনেক পুলিশ আধিকারিকই ব্যর্থ হন৷ কেউ কেউ দিলেও তা মনঃপুত হয়নি কমিশনের৷ ফলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় মালদহ, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারদের৷অস্ত্র উদ্ধার, জাল নোট আটক-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে কমিশনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁদের৷ দার্জিলিং ও কোচবিহার সীমান্ত দিয়ে এ রাজ্যে বেআইনি কাজ কারবার বাড়ছে বলে ওই জেলার শীর্ষ আধিকারিকদের সতর্ক করে কমিশনার৷ এমনকী, এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মার পেশ করা রিপোর্টও নাকি খুশী করতে পারেনি কমিশনকে৷ তিন দিনের মধ্যে তাকে সঠিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার৷ নির্বাচন পরিচালনার কাজে কোনওরকম ত্রুটির গন্ধ পেলেই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শুক্রবারের বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে একথাই জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। সেইসঙ্গে ভোটের আগে এবং ভোটের দিন যে কোনও রকমের হিংসা রুখতে আধিকারিকদের অলআউট পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে কোনওরকম ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না স্পষ্ট জানিয়েছেন সুনীল অরোরা।

Advertisement

[বাজেটের সমালোচনায় এক সুর বাম-কংগ্রেসের, বিরোধীদের কটাক্ষ বিজেপির]

এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কমিশনার বলেন, “রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক ও উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলির জন্য তাঁরা একাধিক পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তবে আমাদের মনে হয় সব সময় আরও ভাল কিছু করার সুযোগ থাকে।” আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছাড়াও এবার রাজ্যে ক’দফায় নির্বাচন হতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনা৷ তিনি জানান, গতবার গোটা দেশে ৯ দফায় নির্বাচন হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য যেখানে বেশ কয়েকটি রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে, রয়েছে আন্তর্জাতিক সীমান্তও। সবদিক মাথায় রেখেই এ রাজ্যে নির্বাচনী দফা স্থির করা হবে। এদিন ইভিএম নিয়ে ফের একবার সার্টিফিকেট দিয়েছেন কমিশনার। জেলা আধিকারিকদের সম্পূর্ণ নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ভোটার তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন সংশোধনীর কাজ চলছে। সেক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।

[শহরে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ১ লক্ষ টাকা]

পাশাপাশি এক জন নতুন ভোটারও যাতে বাদ না পড়েন তা ও নিশ্চিত করতে বলেছে কমিশন। ইভিএম নিয়ে একটি পুস্তকও প্রকাশ করেছে কমিশন। কমিশনার ফের স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, যে পদ্ধতিতে ইভিএম তৈরি হয় তাতে কোনওরকম কারসাজির সুযোগ নেই। এছাড়াও কমিশনার জানিয়েছেন, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আধিকারিকদের বদলি সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ স্টেশন ভিত্তিক স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং জামিনযোগ্য ও জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এছাড়াও গতবারের ভোট সংক্রান্ত যে মামলাগুলি ঝুলে রয়েছে, দ্রুত সেগুলির নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ