Advertisement
Advertisement

Breaking News

কেন্দ্রের ভাঁড়ারে নেই মুগ ও মসুর, বাংলার জন্যও ৫ মাসের রেশনে বরাদ্দ গোটা ছোলা

'ওরা যা দিতে চায় দিক, মানুষ চাইলে নেবে', বলছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

central food ministry give chana to West bengal for next 5 month free ration

ছবি: প্রতীকী

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 13, 2020 2:01 pm
  • Updated:July 13, 2020 2:01 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের শস্যভাণ্ডারে মুগ ও মসুর বাড়ন্ত! তাই পরের পাঁচ মাস বিনামূল্যের রেশনে মিলবে গোটা ছোলা। এমনটাই জানা গেল খাদ্যদপ্তর সূত্রে।

বিনামূল্যের রেশনে প্রথম মাসে ছোলার ডাল দেওয়া হবে শুনেই আপত্তি করেছিল রাজ্য। জোরাজুরি করার পর একবার মিলেছিল মসুর। আর পরের দু’মাস মুগ। তবে আরও যে পাঁচ মাস রেশনে বিনামূল্যের বরাদ্দ বাড়িয়েছে কেন্দ্র। তাতে আর মুগ বা মসুর নয় আসছে গোটা ছোলা। পরিবারপিছু, মাসে এক কেজি করে। তবে কোনও বৈষম্য নেই। অন্য রাজ্যগুলির জন্য যা বরাদ্দ হয়েছে, এই রাজ্যের জন্যও তাই পাঠাচ্ছে কেন্দ্র।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মৃত বিজেপি বিধায়কের পকেট থেকে উদ্ধার সুইসাইড নোট, পুলিশের দাবি ঘিরে বাড়ল সংশয়]

কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান সম্প্রতি একটি ভিডিও কনফারেন্সে রেশন ডিলার ও মন্ত্রকের আধিকারিকদের জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় ( Pradhan Mantri Garib Kalyan Ann Yojana) সব রাজ্যের জন্য বরাদ্দ পাঠানো শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যগুলি যেন তাদের বরাদ্দের অংশ ৩১ আগস্টের মধ্যে তুলে নেয়। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় বাংলার ৬ কোটি এক লক্ষ রেশন গ্রাহক মাথাপিছু বিনামূল্যে দু’কেজি চাল, তিন কেজি গমের সঙ্গে পরিবারপিছু প্রতি মাসে এক কেজি করে গোটা ছোলা পাবেন। ছোলা নিয়ে আপত্তি থাকলেও নতুন করে আর রাজের তরফে পুনর্বিবেচনার কোনও আবেদন পাঠানো হচ্ছে না কেন্দ্রের কাছে।

Advertisement

রাজ্য খাদ্য দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘আমাদের জানিয়েই দেওয়া হয়েছে, মুগ বা মসুর ডালের কোনও সরবরাহ নেই। প্রথমে ওরা ছোলার ডালই পাঠাতে চেয়েছিল। পরে আমাদের দাবিমতো প্রথম মাসে মসুর পাঠায়। তবে পরের দু’মাস মসুর পাঠাতে পারেনি। এসেছিল মুগ।’

বিষয়টি নিয়ে অবশ্য কম টানাপোড়েন চলেনি। ডাল সরবরাহকারী কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা নাফেড (Nafed) -কে দফায় দফায় চিঠি লিখেছিল রাজ্য। তার জবাবে নাফেডের তরফে প্রথমে বলা হয়, ডাল ভাঙানোর কারখানা সব ভাল করে খোলেনি। পরে জানানো হয়, ডালের সরবরাহ কম। এবার একেবারে খোলাখুলি জানিয়ে দেওয়া হল, আর তারা ডাল দিতে পারবে না। কারণ সরবরাহ নেই।

[আরও পড়ুন: ‘ময়নাতদন্তের আগেই আত্মহত্যার তত্ত্ব’, বিধায়কের মৃত্যুর তদন্তে পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ রাজ্যপালের]

রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও আর এ নিয়ে নতুন করে আবেদন করার পক্ষপাতী নন। তিনি বলেন, ‘কতবার আর এক কথা বলব। রাজ্যের দাবি তো কেন্দ্রকে জানানোই আছে। ওরা যা দিতে চায় দিক। মানুষ নিলে নেবেন।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ