রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও টিটুন মল্লিক: বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে দলীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে চতুরদিহি গ্রামে গিয়ে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দুপুর তিনটে নাগাদ বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে আসার পর অমিত শাহকে স্বাগত জানান পরিবারের ছ’জন সদস্যরা। প্রথমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উঠোনে থাকা খাটিয়াতে বলতে দেওয়া হয়। তারপর নিয়ে যাওয়া হয় খাওয়ার জায়গায়।
সেখানে খেঁজুর পাতার চাটাইয়ের উপর বসে কাঁসার থালার উপর কলাপাতায় মধ্যাহ্নভোজ সারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মেনুতে ছিল, ভাত, শাক, পটল বেগুন ভাজা, বিউলির ডাল, কুমড়োর ডালনা, আলু পোস্ত ও পোস্তর বড়া। আর শেষ পাতে ছিল চাটনি ও বেলিয়াতোড়ের বিখ্যাত মেচা সন্দেশ। একদিকে বিভীষণ আর অন্যদিকে দিলীপ ঘোষকে পাশে নিয়ে বেশ তৃপ্তি করে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন অমিত শাহ (Amit Shah। তাঁর সঙ্গে একসঙ্গে বসে খাওয়া সারলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহা-সহ অন্য নেতারাও।
পরে এপ্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে চতুরদিহি গ্রামের বিজেপি (BJP) কর্মী বিভীষণ হাঁসদা বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী মণিকাকে নিয়ে আমাদের পরিবারে মোট ৬ জন সদস্য। দিনমজুরির কাজ করেই সংসার চলে। আমার একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। মেয়ে রচনা হাঁসদা বর্তমানে ক্লাস টুয়েলভ পড়ে। এমনিত পড়াশোনায় ভাল তবে মধুমেহ রোগের জন্য তাকে মাসে তিন বার ইনসুলিন নিতে হয়। এর জন্য প্রায় ৫-৬ হাজার টাকা খরচ হয়। আমি ভেবেছিলাম আজ এই বিষয়ে সাহায্য করার জন্য আবেদন জানাব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু, প্রচুর মানুষের ভিড় তাঁকে আর সেই কথা বলে উঠতে পারলাম না। তাই ভাবছি চিঠি লিখে মেয়ের চিকিৎসায় সাহায্য করার জন্য ওনার কাছে আবেদন জানাব।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.