রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে গিয়ে হেনস্তার মুখে পড়লেন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি। দখলকারী গোরাচাঁদ পাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চেয়ারম্যানের কাজে বাধা তো বটেই, তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। তা আবার গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড করে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরালও করা হয়েছে। ভিডিওর সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’। সরকারি কাজে এভাবে বাধা দেওয়ার একাধিক অভিযোগে এবার দখলকারীকে পাঠানো হল নোটিস। মঙ্গলবার এনিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিঘা বাইপাস সংলগ্ন এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁথি পুরসভার অন্তর্গত দিঘা বাইপাস সংলগ্ন এলাকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি খাস জমি জবরদখল করে থাকার অভিযোগ উঠেছিল গোরাচাঁদ পাত্র নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আগেই মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করে রাজ্যের সমস্ত সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বেঁধে দিয়েছিলেন সময়সীমাও। সেইমতো জেলাস্তরে কাজও শুরু হয়। পুরসভায় বৈঠক করে সেই কাজের দিকনির্দেশ দেন পুরসভার চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি। কিন্তু তারপরও জবর দখলমুক্ত হয়নি ১৪ নং ওয়ার্ডের গোরাচাঁদের দখল করা এই জমি। সেই কারণে মঙ্গলবার পুর চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি পুরকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিজে এলাকায় হাজির হয়ে দখলমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আর সেখানেই তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, তাঁকে হেনস্তার ভিডিও গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। যদিও ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’। চেয়ারম্যানের দাবি, গোরাচাঁদ নামে ওই দখলকারী তাঁকে গালিগালাজ করেছেন। পালটা গোরাচাঁদের দাবি, চেয়ারম্যান তাঁর উদ্দেশে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছেন। এমনকী মারধরের হুমকিও দিয়েছেন। এনিয়ে চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “উনি সরকারি জমি দখল করে ছিলেন। জবরদখল মুক্ত করতে গেলে আমাকে কটূক্তি করা হয়। আমি যখন বলি, সরকারি জমি তুমি থাকতে পারবে না। তারপর আমায় হেনস্তা করা হয়। পুরসভার পক্ষ থেকে তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.