Advertisement
Advertisement

Breaking News

৮ বছর ধরে মৃত মায়ের পেনশনের ২৪ লক্ষ টাকা তুলে দেদার ফূর্তি ‘গুণধর’ ছেলের

বেহালা কাণ্ডের ছায়া এবার হুগলির চুঁচুড়ায়৷

Chinsurah: Man fraudulently draws dead mothers pension
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 4, 2018 7:37 pm
  • Updated:May 5, 2018 4:22 pm

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: বেহালা কাণ্ডের ছায়া এবার হুগলির চুঁচুড়ায়৷ দীর্ঘ আট বছর ধরে জালিয়াতি করে মৃত মায়ের পেনশন অ্যাকাউন্ট থেকে কমপক্ষে ২৪ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ ছেলে বিরুদ্ধে৷ বৃহস্পতিবার রাতে পেনশন প্রতারণার অভিযোগে মৃতের ছেলে নন্দন মিত্রকে গ্রেপ্তার করে চুঁচুড়া থানার পুলিশ৷ আজ শুক্রবার ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে ধৃতকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ গুণধর ছেলের এই কুকীর্তির কথা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে চুঁচুড়ার গোয়ালটুলি এলাকায়৷

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত নন্দন মিত্রের মা আরতি মিত্র একটি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। শিক্ষিকার বাড়ি চুঁচুড়ার গোয়ালটুলি এলাকায়। আট বছর আগে তিনি মারা যান। শিক্ষিকার স্বামীরও আগেই মৃত্যু হয়৷ তার, একমাত্র ছেলে নন্দন মিত্র ছাড়া পরিবারে কেউ ছিল না৷ নন্দন কোনও কাজ করত না৷ কিন্তু মায়ের মৃত্যুর পর নিজের পেট চালানো বড় দায় হয়ে পড়ে৷ সে মৃত মাকে জীবিত দেখিয়ে ব্যাংক থেকে মাসে মাসে মায়ের পেনশন তুলতে থাকেন৷ প্রত্যেক বছর মায়ের লাইভ সার্টিফিকেট ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংকের চুঁচুড়া শাখায় জমা দিয়ে আট বছর ধরে প্রায় মৃত মায়ের পেনশন অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা তুলে নেন নন্দন৷ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ জাগেনি, যে নন্দনের দেওয়া লাইভ সার্টিফিকেট জাল৷

Advertisement

সম্প্রতি চুঁচুড়ার গোয়ালটুলি এলাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অন্য একটি বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানতে পারে, নন্দন মিত্রের মা আরতি মিত্র আট বছর আগে মারা গিয়েছেন৷ এই তথ্য জানার পরই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে৷ তারা চু্ঁচুড়া থানায় নন্দন মিত্রের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন৷ এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চুঁচুড়া থানার পুলিশ তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার রাতে গোয়ালটুলির বাড়ি থেকে প্রতারক নন্দন দত্তকে গ্রেফতার করে৷ পুলিশ ধৃত নন্দনকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো শুরু করেছে৷

Advertisement

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যেহেতু নন্দনের দেওয়া মায়ের লাইভ সার্টিফিকেট ট্রেজারিতে জমা করে দিয়েছেন তাই এই মুহূর্তে কোন ডাক্তার লাইভ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন তা জানা যায়নি৷ চুঁচুড়া থানার পুলিশ ট্রেজারি থেকে সেই সার্টিফিকেটের প্রতিলিপি সংগ্রহ করে তা আদৌ কোনও ডাক্তার দিয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখবে৷ পাশাপাশি কোনও ডাক্তার সত্যি সত্যি সেই লাইভ সার্টিফিকেট ইস্যু করেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ৷ সেক্ষেত্রে এর পিছনে বড় কোনও চক্র জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশের সন্দেহ৷ তবে, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক তার অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ