Advertisement
Advertisement

বাংলাদেশের বর্জ্যে মরছে নদিয়ার চূর্ণির মাছ

ভারতীয় অর্থে বাংলাদেশে শোধন প্ল্যাণ্ট তৈরির নির্দেশ জাতীয় পরিবেশ আদালতের৷

Churni river fishes are dying for the waste of Bangladesh Company
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 8, 2016 1:09 pm
  • Updated:November 8, 2016 1:09 pm

শুভঙ্কর বসু: বিগত ছ’মাসে কয়েক টন মাছ মরেছে চূর্ণিতে৷ আগেও বেশ কয়েকবার এরকম ঘটনা ঘটেছে এই নদীতে৷ বোঝা যাচ্ছিল দূষণের কারণেই বারবার এমনটা ঘটছে৷ তবে সাধারণ দূষণের কারণে এক লপ্তে এত মাছের মৃত্যু সম্ভব নয়৷ চূর্ণির মরা মাছ ও জলের নমুনা সংগ্রহ করে এমনটাই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁদের দাবি ছিল, কোনও কারখানার দূষিত বর্জ্য মিশেছে চূর্ণির জলে৷ আর সেকারণেই একসঙ্গে পঞ্চত্বপ্রাপ্তি এত মাছের৷ অথচ চূর্ণির দু’পাড়ে কোথাও কোনও বড় ধরনের শিল্প বা কারখানা নেই যা থেকে দূষণ ছড়িয়ে এমনটা ঘটবে৷ এরপর যা সন্দেহ করা হয়, তা মিলে যায় হুবহু৷ ওপার বাংলা থেকে চূর্ণির জলে মিশছে দূষিত পদার্থ৷ তা থেকেই এই পরিণতি৷

ওপার বাংলায় চূর্ণির নাম মাথাভাঙা৷ পদ্মা থেকে বেরিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাঁক নিয়ে বাংলাদেশের হাতবোয়ালিয়া হয়ে কুমার নাম নিয়ে চুয়াডাঙা পৌঁছেছে মাথাভাঙা৷ সেখান থেকে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে ঢুকে নাম হয়েছে চূর্ণি৷ জানা যায়, চুয়াডাঙার দর্শনা এলকায় ‘কারো অ্যান্ড কোম্পানি’ নামে একটি শিল্পসংস্থা চিনি, ওয়াইন ও বিভিন্ন রসায়ন সামগ্রী প্রস্তুত করে৷ সেই শিল্পসংস্থার বর্জ্য পদার্থ গিয়ে পড়ছে মাথাভাঙা নদীতে৷ স্রোতের গতিতে তা এসে পৌঁছছে চূর্ণিতে৷ যার ফলে ব্যাপকভাবে দূষিত হচ্ছে চূর্ণির জল৷

Advertisement

এই ঘটনাকে উল্লেখ করে জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় শাখায় একটি মামলা দায়ের করেন মদন লাল নামে এক ব্যক্তি৷ গোটা বিষয়টি জানার পর আদালতের নির্দেশ, ভারতীয় অর্থে বাংলাদেশের ওই এলাকায় একটি এফলুয়েণ্ট ট্রিটমেণ্ট প্ল্যাণ্ট বা কারখানার বর্জ্য শোধন ওয়াটার প্ল্যাণ্ট তৈরি করতে হবে৷ এব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলে শীঘ্রই বিষয়টি স্থির করতে হবে বিদেশমন্ত্রককে৷ এছাড়াও ওই লো কস্ট ওয়েস্ট ওয়াটার ট্রিটমেণ্ট প্ল্যাণ্টটি তৈরি করতে মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেটকে একটি ডিটেল্ড প্রোজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করতে হবে৷ এবিষয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন একটি সংস্থাকে কনসালট্যাণ্ট হিসাবে নিয়োগ করে এলাকার সমীক্ষা করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় আদালত৷

Advertisement

আদালতের নির্দেশের পরই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে শুরু করে রাজ্য সরকার৷ ইতিমধ্যেই দুই বিশেষজ্ঞকে দিয়ে একপ্রস্থ চূর্ণির দূষিত জলের সমীক্ষা করিয়েছে রাজ্য৷ বাংলাদেশের সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনাও শুরু করেছে বিদেশমন্ত্রক৷ তাদের তরফে সম্মতি পেলেই শুরু হবে চূর্ণির জল শুদ্ধিকরণের কাজ৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ