সঞ্জীব মণ্ডল, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে জাল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট তৈরির একটি চক্রের হদিশ পেল সিআইডি। মূল পাণ্ডা-সহ গ্রেপ্তার ২। শহরে অভিযান চালিয়ে প্রচুর জাল মার্কশিট, সার্টিফিকেট, স্ট্যাম্প, শিল উদ্ধার করেছেন রাজ্যের গোয়েন্দারা। সিআইডির দাবি, শিলিগুড়ি প্রায় বছর সাতেক ধরে জাল মার্কশিট ও সার্টিফিকেটের কারবার চলছে। এই জাল নথি ব্যবহার করে অনেক বাংলাদেশি এদেশের নাগরিকত্বও পেয়েছেন।
[ESI হাসপাতালের শৌচাগারে রোগীর ঝুলন্ত দেহ, বিক্ষোভ মৃতের পরিবারের]
দেখে বোঝার উপায় নেই। হুবহু আসলের মতো। টাকার খরচ করলেই মিলত মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, এমনকী, স্নাতকের জাল মার্কশিট ও শংসাপত্র। বাড়তি টাকা দিলে অনায়াসেই পাওয়া যেত প্রথম শ্রেণি কিংবা স্টার মার্কস পাওয়া মার্কশিটও। দীর্ঘদিন ধরেই শিলিগুড়ি রমরমিয়ে চলছিল প্রতারণার এই কারবার। শহরে জাল মার্কশিট চক্রের পর্দাফাঁস করল সিআইডি। মঙ্গলবার গোপনসূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়িতে অভিযান চালান রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। পূর্ব ধানতলা এলাকার একটি দোকান থেকে চক্রের মূল পাণ্ডা গৌতম সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই দোকান থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতকের জাল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট বিক্রি করা হত। ধৃত গৌতম হালদারকে জেরা করে শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ায় একটি জেরক্সের দোকানে অভিযান চলে। গ্রেপ্তার হন দোকান মালিক। দু’জায়গায়ই সিআইডি অভিযানে বিপুল পরিমাণ জাল মার্কশিট, সার্টিফিকেট, স্টাম্প, শিল উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। সিআইডির স্পেশাল ডিএসপি গৌতম ঘোষাল জানিয়েছেন, ‘নির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত চলছে। দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
[বল ভেবে বোমা তুলতেই বিস্ফোরণ, পদ্মপুকুরে জখম ৪ পড়ুয়া]
শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত খুব বেশি দূরে নয়। সিআইডির দাবি, সীমান্ত পেরিয়ে শিলিগুড়িতে ঢোকেন বাংলাদেশের বহু নাগরিক। অনেকেই আবার চাকরি নিয়ে এদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসও করতে শুরু করেন। তদন্তকারীদের দাবি, জাল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট ব্যবহার করেই বিভিন্ন সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী চাকরি পেয়েছেন বাংলাদেশিরা। এমনকী, নাগরিকত্ব নিয়েছেন অনেকেই। বস্তুত, শুধুমাত্র ৩৫টি জাল মার্কশিট ও সার্টিফিকেটই নয়, মঙ্গলবার দিনভর শিলিগুড়িতে অভিযান চালিয়ে জেলাশাসকের দপ্তর-সহ বিভিন্ন সংস্থার ভুয়ো স্ট্যাম্প ও সিলও উদ্ধার করেছেন সিআইডি আধিকারিকরা।
[বাড়িতে বাউন্সার পাঠিয়ে কেন নজরদারি? শোভনের নির্দেশে ক্ষুব্ধ রত্না]