সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যমগ্রামের ঘটনা ফিকে হয়নি। ফের শাসনের নামে সিভিক ভলানটিয়ারদের দাদাগিরি। পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ চলাকালীন লরির চালক ও খালাসিকে মারধরের অভিযোগ উঠল সিভিক ভলানটিয়ারদের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল নদিয়ার চাকদহে।
[সবথেকে বড় তেরঙ্গা উড়িয়ে নজির বাংলার, দেখুন ভিডিও]
ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন গাড়ির চালক, খালাসি এবং স্থানীয় বাসিন্দারা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ করে। চারমাথা মোড়ে অবরোধের জেরে কলকাতা, বহরমপুর, বনগাঁ ও চাকদহের দিকের সব গাড়ি আটকে পড়ে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে চৌমাথা মোড় থেকে বাঁ দিকে ঘুরে চাকদহ দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। এরপর লরিটি আটকায় সিভিক ভলানটিয়াররা। তারা রীতিমতো লাঠি উঁচিয়ে ছুটে আসে। বিনা প্ররোচনায় চালক ও খালাসিকে মারধর করে। চালক শংকর দাসের বক্তব্য, তিনি আইন ভাঙেননি। তবু কেন মার খেতে হল তা তাঁর বোধগম্য হয়নি। তাদের এতটাই আঘাত লাগে যে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়। চালক ও খালাসিকে নিয়ে যাওয়া হয় চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। স্থানীয়রাও এই ইস্যুতে লরি চালক ও খালাসির পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালনের নামে অন্যায় না করা সত্ত্বেও মারধর করা হয়েছ। ঘটনার প্রতিবাদে এবং সিভিক ভলানটিয়ারদের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, পথ নিরাপত্তা দেওয়ার নামে সিভিক ভলানটিয়াররা পথচলতি গাড়ির চালক ও খালাসিদের কাছে থেকে টাকা তোলে। না পেলে জোটে মারধর। পুলিশও কার্যত চোখ বুজে থাকে বলে। পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। তবে পুলিশ অবশ্য মারধরের অভিযোগ মানতে চায়নি।
[পঠনপাঠন বন্ধ রেখে প্রয়াত কর্মীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান, বিতর্কে বর্ধমানের স্কুল]
গত সপ্তাহে সিভিক ভলানটিয়ারদের মারে এক স্কুটারআরোহীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল মধ্যমগ্রাম। তারপর সিভিকদের থেকে লাঠি সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তবে সিভিকদের একাংশের আচরণ যে তারপরও বদলায়নি তা দেখিয়ে দিল চাকদহের ঘটনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.