সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবিভিপির ডেপুটেশন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার নিউ বারাকপুরের আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র কলেজ। ক্যাম্পাসে দফায় দফায় সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে এবিভিপি ও টিএমসিপি সদস্যরা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করলে পুলিশের সামনেই চলে হাতাহাতি। সংঘর্ষের জেরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় মধ্যমগ্রাম-সোদপুর রোড।
[আরও পড়ুন: কালচিনিতে গাড়ি-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ, মৃত শিশুকন্যা-সহ ৪]
বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন কলেজগুলিতে ইউনিট খুলছে এবিভিপি। বাদ পড়েনি নিউ বারাকপুরের সাজিরহাটের আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র কলেজও। কয়েকদিন ধরেই কলেজের বাইরে ক্যাম্প অফিস করে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালাচ্ছিল এবিভিপি সমর্থকরা। তা নিয়ে সংঘর্ষও বাঁধে এবিভিপি ও টিএমসিপি সমর্থকদের মধ্যে।
সোমবার একাধিক দাবি জানিয়ে অধ্যক্ষ শক্তিব্রত ভৌমিকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন এবিভিপি সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে, এই আশঙ্কা করে আগে থেকেই কলেজ চত্বরে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। পূর্ব পরিকল্পনামাফিক সোমবার সকালে কলেজ চত্বরে প্রবেশের পরই বাধার মুখে পড়েন এবিভিপি সমর্থকরা। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই আক্রমণ করা হয় তাঁদের৷
সেই বাধা তোয়াক্কা না করেই স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। কিন্তু এরপর কলেজ থেকে বেরোনোর সময় গেটের ভিতর আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। কোনওক্রমে এবিভিপি সদস্যরা কলেজ থেকে বেরতেই ফের পুলিশের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নেয় এলাকা। আহত হন দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন। অশান্তির জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় মধ্যমগ্রাম-সোদপুরগামী রাস্তা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে নামানো হয় ব়্যাফ। দীর্ঘক্ষণ পর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত ঢোলাহাট, বোমাবাজিতে আহত শিশু]
এবিভিপি সদস্যেদের অভিযোগ, “কলেজে একাধিক দুর্নীতি হয়েছে। তার প্রতিবাদ জানাতেই আজ স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কলেজে ঢুকতেই টিএমসিপি সদস্যরা আমাদের মারধর করে।” যদিও এবিভিপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন টিএমসিপি সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, “এবিভিপি বহিরাগতদের কলেজে নিয়ে এসে হামলা চালিয়েছে। টিএমসিপি সমর্থকরা আহত হয়েছেন। কিন্তু আক্রমণের ঘটনায় কোনওভাবেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জড়িত নয়।” এদিনের ঘটনায় রাজ্যের আরও একটি শিক্ষাঙ্গনে পড়ল রাজনৈতিক হিংসার ছায়া৷