Advertisement
Advertisement

দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জের, টানা এক সপ্তাহ হিলি সীমান্তে বন্ধ ব্যবসা

সমস্যা মেটাতে বৈঠক৷

Close Hili International border trading
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:September 30, 2018 9:30 pm
  • Updated:September 30, 2018 9:30 pm

রাজা দাস, বালুরঘাট: একই সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর বিবাদের স্তব্ধ বালুঘাটের সীমান্ত বাণিজ্য। প্রায় এক সপ্তাহ বাণিজ্য বন্ধের জেরে আর্থিক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা৷ জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ টি ট্রাক বাংলাদেশে যায়। এই মুহূর্তে পেঁয়াজ, চাল ও পাথরের চাহিদা অনেকটা বেশি বাংলাদেশে৷ এই কারবারে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বিশাল পরিমাণ রাজস্ব আসে সরকারের৷

[অনুূব্রতকে কুরুচিকর মন্তব্য সিপিএম নেতার, পালটা কী বললেন কেষ্ট?]

বাংলাদেশে রফতানির জন্য হিলিতে পাথর ডাম্পিং নিয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে দুই ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা বাধে৷ গোষ্ঠী সংঘর্ষে বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশ পাথর রফতানির কাজ৷ এদিকে দীর্ঘদিন ধরে পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের হিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়৷

Advertisement

সোমবার থেকে পাথর পাঠানোর কাজ শুরু করলে পণ্য বয়কটের ডাকও দিয়েছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা৷ এরপরই নড়েচড়ে বসে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা৷ হিলি এক্সপোর্টারস অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক সুব্রত সাহা জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশ পাথর রফতানি। শনিবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চিঠি মারফত জানিয়ে দেওয়া হয় যে, সোমবারের মধ্যে  পাথর রফতানি শুরু না হলে কোন সামগ্রী আমদানি করবে না তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তাদের৷ পাশাপাশি সরকারি রাজস্ব ক্ষতি হবে৷ তাই বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে এনে সমস্যা সুরাহা দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷

Advertisement

[হাত দেখতে গিয়ে গৃহবধূকে আঁচড়, পুলিশের জালে বাঁদর]

অন্যদিকে, হিলি এক্সপোর্টারস অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রাক্তন সম্পাদক সঞ্জিত মজুমদার জানান, কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি নিজেদের পাথরের গাড়ি বাংলাদেশের রফতানি করছিল৷ এর প্রতিবাদ করেন তাঁরা। এর পরই দেখা যায়, গত ২৩সেপ্টেম্বর থেকে পাথর রফতানির জন্য কোনও লিস্ট দেওয়া হচ্ছে না৷ এখন পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশ পাথর রফতানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ তারা সংগঠনের কাছে জানতে চেয়েছেন, কী কারণে পাথর রফতানির বন্ধ রয়েছে৷ তবে তাঁদের কোন উত্তর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ৷ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসক ড.‌ দীপা প্রিয়া জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তাঁর কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তিনি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ