Advertisement
Advertisement
Mamata Banerjee

‘এরকম মধ্যপ্রদেশ বানালেন কীভাবে?’, পুরপ্রধানের পেল্লাই ভুঁড়ি দেখে প্রশ্ন মমতার

দিলেন ওজন কমানোর পরামর্শও।

CM Mamata Banerjee takes dig at Purulia's 'overweight' municipality chairman | Sangbad Pratidin

ছবি: অমিতলাল সিং দেও।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 30, 2022 9:15 pm
  • Updated:May 30, 2022 9:19 pm

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: কাজে গাফিলতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অগ্নিশর্মা চেহারা যখন প্রশাসনিক বৈঠকের মুডটাকে সম্পূর্ণভাবে থমথমে করে দিয়েছিল ঠিক তখনই খানিক স্বস্তি দিলেন তিনি নিজেই। ঝালদা পুরসভার পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের পেল্লাই ভুঁড়ি মোড় ঘোরালো সোমবার পুরুলিয়া শহরের রবীন্দ্র ভবনে প্রশাসনিক পর্যালোচনা সভার। আবার সেই চেনা মেজাজে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (WB CM Mamata Banerjee)।

তখন পরপর বলছেন জনপ্রতিনিধিরা। পালা এল সেই সুরেশ আগরওয়ালের, যার অবয়ব দেখে দৃশ্যতই হতবাক মুখ্যমন্ত্রী। বলেই ফেললেন, “এই মধ্যপ্রদেশ নিয়ে কীভাবে কাজ করেন?” এরপরই নানা ব্যাখ্যা দিতে থাকেন ওই পুরপ্রধান। প্রোটোকল ভেঙে প্রশাসনিক বৈঠকে তখন রীতিমতো হাসির খোরাক। রসিকতা করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই। করবেনই বা না কেন? মুখ্যমন্ত্রী যখন তাঁর খাওয়া-দাওয়া তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে বলেন, সেই সময় পুরপ্রধান বলে ফেলেন, প্রতিদিন সকালে পকোড়া খান। এই কথা শুনে আরও অবাক হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “পকোড়া খেলে কি ভুঁড়ি কমে? সে তো আরও বেড়ে যাবে!” তখন পুরপ্রধানের সাফাই, ” আমি তো সকাল-বিকালে ব্যায়াম করি। ১২৫ কেজি ওজন আমার।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: UPSC-তে মেয়েদের জয়জয়কার, শীর্ষে JNU’র প্রাক্তনী, বাড়িতে পড়েই সফল বঙ্গ তনয়াও]

Purulia Chairman
ছবি: অমিতলাল সিং দেও।

এর পর আর হাসি আর থামাতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। রবীন্দ্র ভবনের প্রেক্ষাগৃহে সবাই হেসে লুটোপুটি। ঠোঁটের কোনায় হাসি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর। হো হো করে হাসছেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিরা। এখানেই শেষ নয়। পুরপ্রধান বলতে থাকেন, “এই চেয়ারগুলো তো আমাদের ওজন দেখেই বানানো হয়েছে।” হাসি আর থামছিল না মুখ্যমন্ত্রীর। আবার পুরপ্রধান বলতে থাকেন, “ব্যায়াম করি দিদি।” মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, “আপনি কি ব্যায়াম করেন যে ভুঁড়ি কমে না? কপালভাতি জানেন? কপালভাতি ক’টা দেন?” পুরপ্রধান বলে বসেন প্রতিদিন এক হাজারটা। অবাক মুখ্যমন্ত্রী সপাটে জানিয়ে দেন, “হতেই পারে না। এখানে এসে করে দেখালে আপনাকে ১০হাজার টাকা পুরস্কার দেব।”

Advertisement

আরও অপ্রস্তুত হয়ে যান পুরপ্রধান। কোনওরকমে বলেন, “দিদি আমি বিকাল পাঁচটার পর করি। এখন তো কিছুতেই দেখাতে পারব না।” আবার হো হো করে হাসতে হাসতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ব্যায়াম করে দেখান এখানে।” পুরপ্রধানের জবাব, “এক্সারসাইজ করি দিদি।” তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শুধু এক্সারসাইজ করলে হবে না। খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সন্ধ্যে সাতটার মধ্যে খেয়ে নেবেন । ১২ ঘণ্টা গ্যাপ রাখতে হবে। আমি লোক ফিট করছি।” পুরপ্রধানের ফের জবাব, “সকাল দশটায় খাই দিদি।”

[আরও পড়ুন: ‘আমার পার্টির লোক হলে চারটে থাপ্পড় মারতাম’, পুরুলিয়ার সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ মমতা]

শেষমেষ অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে নেন পুরপ্রধান। বৈঠক শেষে পুরপ্রধান বলেন, “দেখুন মুখ্যমন্ত্রী তো আমার স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দিলেন। এটা কি কম বড় কথা। আর সবাই মজাও পেলেন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ