Advertisement
Advertisement

গ্রামীণ রাস্তা তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে: মুখ্যমন্ত্রী

কোনও একটি বছরে মোট চার হাজার কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরির নজির কোনও রাজ্যেই নেই৷

CM Mamata orders to complete the construction of 4000Km village road within this year
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 16, 2016 1:51 pm
  • Updated:July 29, 2019 12:36 pm

সন্দীপ চক্রবর্তী: একই অর্থবর্ষে গ্রামীণ এলাকার পাকা রাস্তা তৈরিতে রেকর্ডের দোরগোড়ায় রাজ্য সরকার৷ চলতি আর্থিক বছরেই বাংলার গ্রামে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর৷ তার মধ্যে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ শেষ৷ এছাড়াও আরও ৩৬৪৭ কিলোমিটার জুড়ে কাজ শুরু হয়েছে৷ দফতরের কর্তাদের দাবি, কোনও একটি বছরে মোট চার হাজার কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরির নজির কোনও রাজ্যেই নেই৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গ্রামীণ সড়ক তৈরিতে বাড়তি গুরুত্ব দিল রাজ্য সরকার৷ কারণ, জেলার পরিবহণ পরিকাঠামো উন্নয়নে রাস্তা নির্মাণ সম্পূর্ণ করতে সরকারের প্রথমদিন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বারবার খুঁটিনাটি জেনে থাকেন৷ তেমনই দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছেন৷ এর জেরে দিন কয়েক আগেই প্রায় ১২০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির অনুমোদন হয়েছে৷ আধিকারিকদের বক্তব্য, “সাফল্য এসেছে বলেই এবার আড়াইশো মানুষ বাস করেন, এমন গ্রাম বা জনপদ চিহ্নিত করার কাজ হচ্ছে৷ ২০১৯ সালের শুরুতেই সেই সব এলাকার পুরোটাই পাকা রাস্তায় মোড়া থাকবে৷”

Advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পরই গ্রামীণ রাস্তার হাল ফেরাতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেয়৷ প্রথম পাঁচ বছরে ২০১১ সালের মে মাস থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে ৮১৪২ কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরি হয়েছিল৷ এজন্য খরচ হয়েছিল প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা৷ রাজ্যে গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণের জন্য এই শতকের গোড়ার দিকে এক বিস্তারিত সমীক্ষার মাধ্যমে এক হাজারের বেশি জনসংখ্যার ৮৫৫৫টি গ্রাম বা জনপদ চিহ্নিত করা হয়৷ সেখানে কোনও পাকা রাস্তার সংযোগ ছিল না৷ সেই সংখ্যা কমে প্রায় শূন্য হয়েছে৷ ধাপে ধাপে ৫০০ থেকে ৯৯৯ পর্যন্ত জনসংখ্যা ও পাঁচশোর কম জনবসতিপূর্ণ গ্রাম চিহ্নিত করা হয়৷ একের পর এক ‘মাইলস্টোন’ পেরনোর পর এবার আড়াইশো জনবসতিপূর্ণ জনপদ চিহ্নিত করছে রাজ্য সরকার৷ তিন বছরের আগে সেখানে পাকা রাস্তার ‘ব্লু প্রিণ্ট’ তৈরি৷ দফতরের প্রধান সচিব সৌরভ দাস প্রতিদিনের কাজের হিসাব চাইছেন৷ পঞ্চায়েত দফতরে গেলেও কিন্তু এই কর্মব্যস্ততা চোখে পড়বে৷ প্রতিদিন প্রত্যন্ত গ্রামে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার তথ্য দিয়ে জানাচ্ছেন পরিস্থিতি৷

Advertisement

প্রতি কিলোমিটার পাকা রাস্তার জন্য প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হয় ধরে টাকার সংস্থান করা হচ্ছে৷ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের তিন জেলায় মাস ছয়েক আগেই পাঁচশোর কম জনবসতিপূর্ণ এলাকায় পাকা রাস্তা যুক্ত করার কাজ শেষ হয়েছিল৷ পদস্থ আধিকারিকদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরির ফলে পরিকাঠামো যেমন ভাল হয়, তেমনই একশো দিনের কাজেও আগে মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছিল৷ রাজ্য সরকার নিজেদের উদ্যোগে গ্রামীণ রাস্তা তৈরিতে জোর দিচ্ছে কর্মসংস্থানের কথা মাথায় রেখেও৷ তাই পাকা রাস্তা না হলেও অনেক ক্ষেত্রে কংক্রিটের রাস্তায় জোর দেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ