BREAKING NEWS

১৪ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  সোমবার ২৯ মে ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

বিরোধীদের সঙ্গে বৈঠকে সহযোগিতার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: June 1, 2016 9:01 am|    Updated: June 1, 2016 9:10 am

Cm Meets Opponent Party leaders

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূলের পক্ষে ২১১ জন বিধায়ক থাকতেই পারেন৷ কিন্তু তিনি যে আদতে সকলের মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভার প্রথম দিনেই সেই বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার অধিবেশনের শেষে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে এসে বাম বিধায়করা যেমন সহযোগিতার আশ্বাস পেলেন, তেমনই মিলল অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রূত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রূতি৷ মূলত নির্বাচনোত্তর সংঘর্ষের প্রসঙ্গ তুলতেই মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দিলেন পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷

মঙ্গলবার ছিল বিধানসভার স্পিকার নির্বাচনপর্ব৷ এদিন সর্বসম্মতিক্রমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই আবার স্পিকার নির্বাচিত হলেন৷ সেই পর্বে বলতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী তাৎপর্যপূর্ণভাবে নির্বাচনী সংস্কারের দাবি তুলে বিধানসভায় আলোচনা চান৷ একইসঙ্গে নির্বাচনকে গণতন্ত্রের উৎসব বলে বর্ণনা করে, কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে গণতন্ত্রে কারফিউ জারি হওয়ার কথা তোলেন৷ মমতা এর আগেও নির্বাচনী সংস্কারের প্রসঙ্গ তুলে সরব হয়েছেন৷ এদিনও সেই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “গোটা দেশে যা নিয়ে আলোচনা হয় না, এই বিধানসভায় তা নিয়ে আলোচনা হবে৷ আমরা চাই ভোটটা স্টেট ফান্ডিংয়ে হোক৷ আমরাই প্রথম বলেছিলাম নো এপিক কার্ড, নো ভোট৷ আমরা আবারও বলছি, উই ওয়াণ্ট ইলেক্টোরাল রিফর্মস, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস, ইকোনমিক রিফর্মস৷ নির্বাচনী সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার অত্যন্ত প্রয়োজন৷ এটা নিয়ে আলোচনা দরকার৷ স্টেট ফান্ডিং অফ দ্য ইলেকশন শুড বি ডিসকাসড বাই দ্য ইলেকশন কমিশন৷” মমতার স্পষ্ট বক্তব্য, “গণতন্ত্রকে যদি পরিষ্কার রাখতে হয়, তবে ইলেকশন কমিশন নির্বাচনের খরচ বহন করুক৷ তা হলেই কালো টাকা কালো টাকা করে চিৎকার করা বন্ধ হবে৷”

নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে বলতে উঠে এদিন আবারও নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরু‌দ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলেন মমতা৷ বিজেপির নাম না করেও তোপ দেগে বলেন, “উৎসবের অ আ ক খ, এ বি সি ডি তখনই সাফল্যমণ্ডিত হয়, যখন গণতন্ত্র সজীব হয়৷ গণতন্ত্রের কারফিউ নয়৷ গণতন্ত্র মানে উৎসব৷ আমি আগেও এ কথা বলেছি৷ উৎসবের মধ্যে দিয়েই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে৷ বিরোধীদেরও গঠনমূলক ভূমিকা নিতে হবে৷ ভোটে সন্ত্রাসের পরিবেশ সত্ত্বেও যেভাবে মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, তার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ৷”

স্পিকার নির্বাচনপর্ব সারার সঙ্গে সঙ্গে ১৭ জুন পর্যন্ত মুলতবি হয়ে যায় অধিবেশন৷ তার আগে প্রত্যেক বিরোধী দল নিজেদের মতো করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নব নির্বাচিত স্পিকারকে৷ কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা আবদুল মান্নান, বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী, বিজেপি বিধায়ক দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে প্রত্যেক দলের নেতা শুভেচ্ছা জানান স্পিকারকে৷ ধবনি ভোটে স্পিকার হিসাবে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম পাস হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি আবদুল মান্নান, সুজন চক্রবর্তীরা স্পিকারকে অভিনন্দন জানিয়ে তাঁর ঘরে নিয়ে যান৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গণতন্ত্রের উচ্ছ্বসিত হওয়ার দিন এখন৷ গণতন্ত্র আজ মানুষের আশীর্বাদধন্য৷ ২০১৬ নির্বাচনের পর স্পিকার নির্বাচন গর্বের ব্যাপার৷ ইতিহাস তার স্রোতে বয়ে যায়৷ সঙ্গে সঙ্গে নুতন নজিরও তৈরি হতে থাকে৷ যাঁরা অভিজ্ঞ তাঁরা আরও ভাল কাজ করবেন৷ নতুনরা ভাল করে কাজ শিখবেন৷ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা আরও বড় ভূমিকা৷ চেয়ারকে আমরা সবসময় মর্যাদা দিই৷ সেই কাজ চলবে৷ অধ্যক্ষ পথ দেখাবেন৷”

এর পরই আসে বামফ্রণ্টের সঙ্গে মমতার চা-চক্র৷ সুজন চক্রবর্তী, অশোক ভট্টাচার্যরা চা খেতে চেয়ে সৌজন্য সাক্ষাতের আবেদন জানান৷ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একইসঙ্গে রাজ্যজুড়ে তাঁদের কর্মীদের উপর সন্ত্রাসের অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি সল্টলেক ইস্যু নিয়েও দ্রূত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান সুজন-অশোকরা৷ একইসঙ্গে প্রশাসনিক স্তরে বিশেষত পুলিশের কাছে যোগ্য সম্মানের জন্য আবেদন করেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোকবাবু৷ মুখ্যমন্ত্রী এদিন হালকা মেজাজে থাকলেও বামফ্রণ্টের সমস্ত অভিযোগ পরিষদীয়মন্ত্রীর কাছে জানাতে বলেন৷ বলেন, “এমনটা হতে পারে না৷ যাঁর যা প্রাপ্য সম্মান, তাঁকে সেটা দিতে হবে৷”

 

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে