Advertisement
Advertisement

চিকিৎসার নামে কাউকে টাকা দেবেন না, কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

টোল ফাঁকি রুখতে কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ।

CM's meeting in West Midnapore
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:December 4, 2018 3:56 pm
  • Updated:December 4, 2018 3:58 pm

কিংশুক প্রামাণিক, মেদিনীপুর: সরকারি চিকিৎসার নামে জনপ্রতিনিধিদের টাকা দেবেন না। কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক। সেই বৈঠকে বসেই পুলিশ থেকে চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধি থেকে সরকারি উচ্চপদস্থ কর্তা-প্রত্যেককেই একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

[ সুন্দরবনের নিরাপত্তায় এবার কপিলমুনির আশ্রমের পাশেই ঘাঁটি নৌসেনার]

Advertisement

চিকিৎসা পরিষেবা শুধু নয়, নির্মল বাংলা বা গীতাঞ্জলি প্রকল্পের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার মতো সরকারের একাধিক প্রকল্পে জনপ্রতিনিধিদের নামে অভিযোগ জমা পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এদিনের বৈঠকে সেইসব অভিযোগের প্রসঙ্গ নিজেই তোলেন মমতা। নির্মল বাংলা প্রকল্পে সরকারি নজরদারির কথা জানিয়ে বলেন, “একটা সময় ছিল পঞ্চায়েতের টাকা জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের অ্যাকাউন্টে রেখে দিতেন। এগুলো করা যাবে না। গীতাঞ্জলি প্রকল্পে অনেকে টাকা নিচ্ছে। রেশন দোকানে প্রাপ্য চালও কেটে নেওয়ার অভিযোগ আসছে। এমনকী, সরকারি চিকিৎসা পরিষেবার জন্য টাকা চাইছে অনেকে। সরকারি পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। কোনও জনপ্রতিনিধিকে টাকা দেবেন না।”  দাবি-দাওয়ার কথা জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেতে হয় শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোকে। মমতা বলেন, ‘আগে নিজেরা কাজ করুন। আপনারা খালি চাইবেন আর আমি এসে কাজ করে দেব?’

Advertisement

টোল ফাঁকি দিয়ে ভারী গাড়ি গ্রামের রাস্তায় ঢুকে পড়ে। বাংলা সড়ক যোজনায় তৈরি রাস্তার মারাত্মক ক্ষতি হয়। অভিযোগ করেন সাংসদ মানস ভুঁইয়া। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশ, ‘গ্রামের নরম রাস্তায় ১০, ২০, ৪০ চাকার লরি ঢুকছে। টোল ফাঁকি দিতে এসব করছে। টোল ফাঁকি দেওয়া যাবে না। ৪ চাকার ছোট লরি ছাড়া আর কিছু গ্রামের রাস্তায় ঢুকবে না। খুঁটি পুতে সেসব আটকান। ব্যারিকেড করে দিন। ১০ দিন আটকে রাখুন। মোটা টাকা জরিমানা করুন। গোটা বাংলায় এই নিয়ম বলবৎ করতে হবে।’ সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, কথায় কথায় গ্রামের রোগীদের কলকাতায় রেফার করা যাবে না। এতে পথে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। মমতার কথায়, ‘জেলায় জেলায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হচ্ছে। চিকিৎসা পরিষেবার মান উন্নত হয়েছে। তাতে অনেক রোগের চিকিৎসা এখন অনায়াসে গ্রামেই হয়। অযথা কলকাতায় রেফার করার দরকার নেই। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে অবিলম্বে ক্যাথল্যাব পরিষেবা চালুর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গেই শালবনি হাসপাতাল নিয়ে একটা রাজনৈতিক দলের ডাক্তারদের সংগঠন মিথ্যা প্রচার করছে বলে অভিযোগ তোলেন মমতা। স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল বামপন্থীদের দিকে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ওরা মিথ্যা প্রচার করছে। শালবনি হাসপাতাল থেকেও মিলবে বিনামূল্যে পরিষেবা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘যাঁরা মিথ্যা প্রচার করছেন তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসকদের ঢুকতে দেবেন না। এভাবে বন্‌ধ-ধর্মঘট করে ৩৪ বছর ওরা চালিয়েছে। আর ওদের সুযোগ নয়। চিকিৎসকরা চিকিৎসা করবে, রাজনীতি নয়। প্রকৃত ডাক্তাররা সেই কাজই করেন।’ জঙ্গলমহলে দিনে বা রাতে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য স্থানীয় গ্রামবাসীদের নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

ছবি: নিতাই রক্ষিত

[ মাথা ফেটে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত, জাপটে ডাকাত ধরলেন আহত যুবক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ