নন্দন দত্ত, সিউড়ি: দিলীপ-সায়ন্তনের পথে হেঁটে এবার ‘গুলি’ মন্তব্য বীরভূমের বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের। দলের কর্মীদের আক্রমণ করলে প্রয়োজনে অভিযুক্তদের চিরতরে ঘুম পাড়ানোর নিদান দেন তিনি। বিজেপি নেতার এই মন্তব্যেই শুরু বিতর্ক।
নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করছে বিজেপি। শনিবার বীরভূমের সাঁইথিয়ায় অভিভনন্দন যাত্রার আয়োজন করে গেরুয়া শিবির। স্থানীয় ইউনিয়ন মোড় থেকে এদিনের মিছিলে পা মেলান জয়প্রকাশ মজুমদার, জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল-সহ অন্যান্য বিজেপির নেতা-কর্মীরা। মুড়াদিঘি কলোনিতে মিছিল শেষ হওয়ার পর সেখানে সভায় যোগ দেন বিজেপি নেতারা। সেই সভা থেকেই নাম না করে তৃণমূল কর্মীদের গুলি চালিয়ে ঘুম পাড়ানোর নিদান দিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, “কোনও এলাকায় হাতি ঢুকে পড়লে প্রথমে ঘুম পাড়ানি গুলি চালিয়ে তাকে বশে আনার চেষ্টা করতে হয়। তাতে কাজ না হলে চিরতরে ঘুম পাড়াতে হয়। ঠিক একইভাবে যারা বিজেপি কর্মীদের আক্রমণ করবে, তাঁদেরও প্রথমে সাবধান করতে হবে ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়ে, তাতে কাজ না তাঁদেরও চিরতরে ঘুম পাড়িয়ে দিতে হবে।” জেলা সভাপতি এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, জেলায় জেলায় সভায় যোগ দিয়ে বারবার গুলি চালানোর নিদান দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তাঁর এই মন্তব্যের জেরে অস্বস্তিতে পড়ছে হয়েছে দলকে। টুইটে এই মন্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বরাবরই নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন সাংসদ। পরবর্তীতে তাঁর পথে হেঁটেই গুলি চালানো ও ‘লুঙ্গিবাহিনী’কে দেশ ছাড়া করার হুমকি দেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন শ্যামাপদ মণ্ডল। বিজেপি নেতৃত্বের লাগাতার কুকথার জেরে অস্বস্তিতে বাড়ছে দলের অন্দরেই, মত রাজনৈতিক মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.