রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: একদা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন ছিলেন। পরবর্তী সময়ে একাধিক সংঘাতের জেরে লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। শনিবার তথ্য পাচারের অভিযোগে ভারতী ঘনিষ্ঠ আরও এক পুলিশ আধিকারিককে গ্রেপ্তার করল সিআইডি। ধৃত প্রদীপ রথকে ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা আদালত।
[ডায়মন্ড হারবারে গণপিটুনি রুখতে গিয়ে আক্রান্ত সিভিক ভলান্টিয়ার]
২০১৭-১৮এ পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। দাসপুর থানার ওসি ছিলেন প্রদীপ রথ। তাঁর বিরুদ্ধে হিসেব বহির্ভূত আয় ও তোলাবাজির অভিযোগে তদন্তে নেমেছে সিআইডি। গত বছরের গোড়ার দিকে পশ্চিম মেদিনীপুরেরই বেলদা থানার ওসি থাকাকালীন প্রদীপ রথকে গ্রেপ্তারও করেছিল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। এই পুলিশ আধিকারিক আবার পুলিশ মহলে আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রদীপ রথকে সাসপেন্ড করে রাজ্য পুলিশ। তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে। এই মুহূর্তে জেলা পুলিশের ‘স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ’-এর ওসি পদে কর্মরত প্রদীপ রথ। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই আলিপুর জেলা পুলিশের গোপন তথ্য বিভিন্ন জায়গায় পাচার করছিলেন এই পুলিশ আধিকারিকরা। বিষয়টি জানার পর, প্রদীপ রথের বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ার থানার অভিযোগে দায়ের করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার ‘স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ’-এর ওসি প্রদীপ রথকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর প্রদীপ রথকে নিয়মমাফিক আলিপুরদুয়ার জেলা আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের আইনজীবীর অবশ্য দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যে অভিযোগ করেছেন, তা খুবই নগণ্য। পরিকল্পনামাফিক একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ। এদিকে ওসি প্রদীপ রথের গ্রেপ্তারি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে জেলা পুলিশ ও সিআইডি।
[ বিয়ের আড়াই মাসের মধ্যে গৃহবধূর মৃত্যু, গ্রেপ্তার স্বামী-সহ ৩]