ছবি: প্রতীকী
টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত ডিউটি ছিল। রাতে থানার ভিতরেই সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করলেন রাজ্য পুলিশের এক এসআই। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার শালতোড়া থানায়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, পারিবারিক অশান্তিতেই আত্মহত্যা করেছেন ওই পুলিশকর্মী।
[এসআই সেজে সোনারপুরের স্কুলে সারপ্রাইজ ভিজিট, পুলিশের জালে ছদ্মবেশী]
মৃতের নাম বিশ্বনাথ মণ্ডল। বছর খানেক আগে এএসআই থেকে পদোন্নতি পেয়ে এসআই হয়েছিলেন তিনি। প্রথম পোস্টিং ছিল বাঁকুড়ার শালতোড়া থানায়। বিশ্বনাথবাবুর বাড়ি বাঁকুড়ারই গঙ্গাজলঘাটিতে। বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় শালতোড়া থানায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ডিউটি ছিল শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত। থানার অন্য পুলিশকর্মীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারো নাগাদ সার্ভিস রিভলভার থেকে নিজের কানে গুলি করেন এসআই বিশ্বনাথ মণ্ডল। গুলির শব্দে পেয়ে ব্যারাক থেকে তাঁরা যখন থানায় আসেন, তখন দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থা পড়ে রয়েছেন ওই পুলিশকর্মী। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় শালতোড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু, শালতোড়া থানার এসআইকে বাঁচানো যায়নি। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। নিয়মমাফিক মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্তু, থানার ভিতরে কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন ওই এসআই? প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বিশ্বনাথ মণ্ডলের পরিবারে অশান্তি চলছিল, তাই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
থানার ভিতরে গুলিবিদ্ধ হয়ে এসআইয়ের মৃত্য অবশ্য এই প্রথম নয়। দিন কয়েক আগেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর টাউন থানায়। রোজকার মতোই ঘটনার দিন সকালেও থানায় কাজে যোগ দিতে এসেছিলেন এসআই উত্তম কুমার দে। আচমকাই গুলির শব্দ শোনা যায়। অন্য পুলিশকর্মীরা থানার ভিতরে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থা পড়ে আছেন উত্তমবাবু। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কাজ শুরুর আগে নিজের সার্ভিস রিভলভারটি পরিষ্কার করছিলেন এসআই উত্তম কুমার দে। কোনওভাবে ট্রিগারে হাতে পড়ে যায় তাঁর। তার জেরেই ঘটেছিল দুর্ঘটনা।
[উত্তরবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টিতে বিপন্ন বন্যজন্তুরা, লোকালয়ে ঢুকে পড়ল হাতি ও অজগর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.