সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রক্ষকই ভক্ষক! পণের দাবি স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে উঠল খোদ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। নদিয়ার চাকদহের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলক সরকারের ঠিকানা আপাতত শ্রীঘর।
[বিরিয়ানির সঙ্গে ঘুমের মাদক পাচার হয়েছিল আলিপুর জেলে?]
মৃতের নাম সোমা সরকার (২৩)। নদিয়ার শিমুরালির সোমার সঙ্গে বছর চারেক আগে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় চাকদহের সান্যালচরের বাসিন্দা পুলক সরকারের। তাদের একটি বছর দু’য়েকের সন্তানও আছে। সোমার বাবা সুশান্ত মহন্তর বক্তব্য, বিয়ের সময় জামাইকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি দেওয়া হয়েছিল মেয়ের অলঙ্কার এবং ছেলের দাবি মতো জিনিসপত্র। কিন্তু তারপরও নানা অছিলায় মেয়ের উপর অত্যাচার হতে থাকে। বাপেরবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হত। কথা না শুনলে চলত মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার। কিছু দিন আগে বাপেরবাড়ি শিমুরালিতে গিয়েছিলেন সোমা। গত রবিবার বিকেলে পেশায় পুলিশকর্মী পুলক স্ত্রীকে বাপেরবাড়িতে থেকে চাকদহে নিয়ে আসেন। সেদিন রাতে সোমার সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর বাপেরবাড়ির লোকেদের। ওই বধূ জানিয়েছিল সে ভাল আছে। তবে সেদিন রাতে সোমার শ্বশুরবাড়ি থেকে একটি ফোনে গলা শুকিয়ে যায় মহন্ত পরিবারের। সোমার বাপেরবাড়িতে গভীর রাতে পুলকের বাড়ির লোক জানায় মেয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে। এরপর সোমার বাবা সুশান্ত মহন্ত প্রতিবেশীদের নিয়ে সান্যালচরের বাড়িতে যান। কিন্তু সেখানে তিনি মেয়েকে দেখতে পাননি। তাঁরা জানতে পারেন চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সোমাকে। হাসপাতালে বধূর বাপেরবাড়ির লোকজন দেখতে পান মেয়ের গলায় ফাঁসের দাগ।
[সাড়ম্বরে পালিত হল ‘পৃথিবীর জন্মদিন’, কাটা হল বিশাল কেক]
সোমবার সোমার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি সহ পাঁচজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের বধূর বাপেরবাড়ির লোকজন। চাকদহ থানার পুলিশ পুলক সরকারকে গ্রেপ্তার করে। বাকিদের আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে বধূর পরিজনেরা। পুলিশকর্মী হয়েও এভাবে পণের জন্য অত্যাচারের ঘটনায় প্রতিবেশীরাও ক্ষুব্ধ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.