Advertisement
Advertisement

Breaking News

Cops deploy drone to trace missing child at Suri

শান্তিনিকেতনের পর সিউড়ি, ফের রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ শিশু, তল্লাশিতে ড্রোন ওড়াল পুলিশ

মা এবং সৎ বাবার সঙ্গে থাকত ওই শিশুটি।

Cops deploy drone to trace missing child at Suri । Sangbad Pratidin

ছবি: শান্তনু দাস।

Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 7, 2022 8:00 pm
  • Updated:October 7, 2022 8:42 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: শান্তিনিকেতনের মোলডাঙার পর সিউড়ি। সকালে মাঠে শৌচকর্ম করতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় হাটজন বাজারের সাত বছরের এক শিশু। তাকে খুঁজতে তৎপর পুলিশ। আশেপাশের পুকুরে জাল ফেলে এবং ড্রোন উড়িয়ে চলছে জোর তল্লাশি।

নাজিমুদ্দিন মণ্ডল নামে বছর সাতেকের ওই শিশুটির পৈতৃক বাড়ি নদিয়ার পলাশিতে। বাবা কাশেমুদ্দিন ও মা জুলেখা বিবির সপ্তম সন্তান সে। জুলেখা বিবি জানান, কাশেমুদ্দিনকে ছেড়ে পাঁচ বছর আগে তিনি সিউড়ির হাটজন বাজার এলাকার রেলস্টেশন সংলগ্ন উড়ালপুলের নিচের বস্তির বাসিন্দা জসিমুদ্দিনকে বিয়ে করেন। নাজিমুদ্দিকে নিয়েই জুলেখা প্রথমপক্ষের সংসার ছাড়ে। দ্বিতীয়পক্ষে তার কোনও সন্তান নেই। বিবাহবিচ্ছেদ হলেও নিজের ছোট ছেলেকে দেখতে গত পাঁচ বছরে দু’বার তার বাবা কাশেমুদ্দিন নদিয়া থেকে সিউড়ি এসেছিলেন। শেষবার এসেছিলেন গত বছর পুজোর পর। জুলেখা বিবি বলেন, “ছেলেকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারে কাশেমুদ্দিন। এই ভয়ে আমি দু’বারই আগের স্বামী আসার খবর পেয়ে ছেলেকে নিয়ে লুকিয়ে যাই। আমার ছোটছেলে একেবারেই সাদাসিধে। ভয় লাগছে শৌচকর্ম সারতে যাওয়ার সময় কেউ তাকে তুলে নিয়ে গেল কিনা।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: হড়পা বিপর্যয়: ‘কৃত্রিম বাঁধ নয়, মাল নদীতে করা হয়েছিল চ্যানেল’, দাবি জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের]

এদিকে জুলেখার বর্তমান স্বামী জসিমুদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে জুলেখা ফোন করে তাদের ছেলে নিখোঁজের কথা জানায়। তিনি তখন মেদিনীপুরে ছিলেন। সিউড়ি ফিরতে তার রাত হয়ে যায়। বাড়ি ফিরে তিনি স্ত্রীকে ঘরে দেখেননি। জানতে পারেন সিউড়ি থানার পুলিশ তাকে আগের স্বামীর বাড়ি নদিয়াতে নিয়ে গিয়েছে। জুলেখার সন্দেহ প্রথম পক্ষের স্বামী তার ছেলেকে নিয়ে গিয়েছে। যদিও পুলিশের সামনে জিজ্ঞাসাবাদে কাশেমুদ্দিন জানায়, আগে দু’বার শুধু ছেলেকে একবার চোখের দেখা দেখতেই গিয়েছিল। তার বেশি কিছু নয়। তিনি তাঁর ছেলেকে খুঁজতে পুলিশ ও আগের স্ত্রীকে সাহায্যেরও প্রতিশ্রুতি দেন।

Advertisement

নাজিমুদ্দিনের বন্ধু সানি মুন্সি জানায়, বৃহস্পতিবার তাঁরা দু’জনেই সকালে একসঙ্গে গাছতলায় যায়। তখন নাজিমুদ্দিন আরেকজন বন্ধুকে ডাকতে যায়। সে আসেনি। তারা দু’জনে নিজের নিজের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। পরে চা খেয়ে ঘরের বাইরে বেরলে দেখে নাজিমুদ্দিন মাঠের দিকে যাচ্ছে। প্রতিবেশী রাখী বিবি জানান, নাজিমুদ্দিনের বাবা গত বছর এসে ছেলেকে নিজের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। জুলেখা দেননি। অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক রায় নিজে বেশ কয়েকবার ওই বাড়িতে শিশুর খোঁজে তল্লাশিতে যান। সন্ধেয় নিখোঁজ শিশুর খোঁজে এলাকায় যায় পুলিশ কুকুর। কুকুরটি শিশুর বাড়ি থেকে সোজা দৌড়ে যায় সিউড়ি স্টেশনে। যেহেতু শিশুটির বাড়ি রেল স্টেশন থেকে ৫০ মিটারের মধ্যে তাই সে নিজে অথবা কারও সঙ্গে ট্রেনে উঠে কোথাও চলে গিয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: মগরাহাট থেকে উদ্ধার হরিদেবপুরের যুবকের দেহ, প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ