Advertisement
Advertisement

Breaking News

Corona Virus

রাজ্যজুড়ে সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট বসাবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ

৭০টি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি শুরু হচ্ছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।

Corona pandemic: NHAI assures to construct oxygen plant across state hospitals in West Bengal | Sangbad Pratidin

প্রতীকী চিত্র।

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 7, 2021 3:45 pm
  • Updated:May 7, 2021 4:18 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দার্জিলিং থেকে দিঘা, রাজ্যজুড়ে সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট বসাবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।প্রতিরক্ষামন্ত্রক কারিগরি পরিকাঠামো তৈরি করবে। এইরকম ৭০টি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি শুরু হচ্ছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।

[আরও পড়ুন: কর্মসূত্রে কলকাতায় ছেলে-বউমা, চুঁচুড়ার বাড়িতেই মৃত্যু করোনা আক্রান্ত একাকী বৃদ্ধার]

সারা দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর হারও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শয্যার চরম অভাব দেখা দিয়েছে। এই সময়ে সবচেয়ে মহার্ঘ অক্সিজেন। ইতিমধ্যে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন করোনা রোগীর। তাই গোটা দেশ তথা রাজ্য জুড়ে চলছে অক্সিজেন জোগান দেওয়ার তৎপরতা। অক্সিজেনের প্রবল সংকট দেশে করোনার আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সড়ক যোগাযোগ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রক এগিয়ে এসেছে সংকট মোকাবিলায়। রাজ্যজুড়ে সমস্ত সরকারি হাসপাতালে ১০০০ লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন তরল মেডিকেল অক্সিজেন তৈরির কারখানা তৈরি করবে তারা। দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, হুগলির জেলা ও মহকুমা হাসপাতাল মিলিয়ে তৈরি হবে ২২টি অক্সিজেন প্লান্ট। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও সরকারি হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন ইউনিট। এইরকম ১৫ টি জেলায় ৪৮ টি অক্সিজেন প্লান্ট বসাচ্ছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। ইতিমধ্যেই নির্মাণস্থল পরিদর্শন সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল জেলা ও মহকুমা হাসপাতাল এবং দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে বসবে এই অক্সিজেন উৎপাদন ইউনিট। প্লান্ট নির্মাণ (সিভিল) করবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তারপর কারিগরি নির্মাণের জন্যে তুলে দেওয়া হবে ‘ডিআরডিও’কে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, এক একটি অক্সিজেন প্লান্টের শুধুমাত্র সিভিল ও ইলেকট্রিক্যাল অংশের জন্যে জাতীয় সড়কে কর্তৃপক্ষের খরচ পড়বে প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। ১০০০ লিটার জোগান পাওয়ার পর যদি সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের অক্সিজেন উদ্বৃত্ত হয় তবে তা অন্যত্র ব্যবহার করা যাবে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দুর্গাপুরের প্রকল্প আধিকারিক স্বপন কুমার মল্লিক জানান, “অতি দ্রুততার সঙ্গে নির্মাণ কাজ শেষ করে আমরা তা তুলে দেব ডিআরডিও’র হাতে। আমাদের তরফে নির্মাণ শেষ হতে দিন দশেক সময় লাগবে।” এই দুই কেন্দ্রীয়মন্ত্রকের উদ্যোগ সফল হলে রাজ্যে কিছুটা হলেও অক্সিজেনের ঘাটতি কমবে বলেই মনে করছেন রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বারমুডা পরুন’, মমতার উদ্দেশে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে FIR দায়ের দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ