Advertisement
Advertisement

Breaking News

Corona Virus

সরকারি নথি না মেলায় করোনা আক্রান্তকে ভরতিতে ‘না’, হাসপাতাল চত্বরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বৃদ্ধার

অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল।

Corona Virus : A woman allegedly died without treatment in Suri Hospital| Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:June 4, 2021 8:40 pm
  • Updated:June 4, 2021 9:15 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নথি না আসার অজুহাতে করোনা রোগীকে ভরতি নিতে অস্বীকারের অভিযোগ উঠল হাসপাতালের বিরুদ্ধে। একঘণ্টা হাসপাতাল চত্বরে পড়ে থাকায় মৃত্যু হয়েছে রোগীর, দাবি মৃতার ছেলের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।

বোলপুরের বাসিন্দা অনিতা রায় (৬০)। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ওই বৃদ্ধাকে শুক্রবার সন্ধেয় নিয়ে আসা হয় সিউড়ি কোভিড হাসপাতালে। তাঁর ছেলে সন্তোষ রায়ের অভিযোগ, তাঁর মা-কে নিয়ে এলেও বোলপুর ব্লকস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মায়ের করোনা (Corona Virus) আক্রান্তের কোনও নথি সিউড়ি হাসপাতালে এসে পৌঁছয়নি। সেই মেল খুঁজতে এক ঘণ্টা দেরি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরেই তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়।

Advertisement

সিউড়ি হাসপাতাল সুপার শোভন দে জানান, সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বয়ান অনুযায়ী রোগী হাসপাতালে আসার পাঁচ মিনিটের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়। ফলে গাফিলতির প্রশ্নই ওঠে না। জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, যেখান থেকে রোগী আসুক প্রথমে তাঁকে ভরতি করতে হবে। পরে তাঁর নথি পরীক্ষা করা হয়। এক্ষেত্রে বোলপুর থেকে রোগীর করোনা পরীক্ষার নথি আসার কথা। সেক্ষেত্রে পরে এলেও চলে। ফলে মেল না পাওয়ায় রোগী ভরতি হয়নি, পরিবারের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিমানভাড়া ফেরত নিতে গিয়ে অনলাইনে প্রতারণার শিকার তরুণী, গায়েব ৬৬ হাজার টাকা]

বোলপুরের পূর্ববাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা অনিতা রায়ের ক্ষুধামান্দ্য হয়। সঙ্গে জ্বর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ মে তাঁকে বোলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র বাধগড়াতে চিকিৎসার জন্য যান। করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট আসে পজিটিভ। চিকিৎসকের পরামর্শে ঘরে রেখেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। পরিবারের লোক জানায় জ্বরের প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় বৃদ্ধা দিন তিনেক আগে স্নান করেন। সেদিন থেকেই ফের তাঁর জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। শুক্রবার সকাল থেকে অবস্থার অবনতি হয়। তাঁর ছেলে সন্তোষ রায় জানান, শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হেল্প লাইনে ফোন করলে তাঁরা রোগীকে সিউড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেই মতো সন্ধেয় মাকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে সিউড়িতে আনেন। কিন্তু সেখানে মেল না আসায় ভরতি করতে এক ঘণ্টা লেগে যায়। তাঁর অভিযোগ, সঙ্গে সঙ্গে ভরতি করে নিলে তাঁর মা হয়তো বেঁচে যেতেন। 

স্বাস্থ্যকর্মী কনিকা দাস জানান, মেল খুঁজতে এমারজেন্সিতে একঘণ্টা দেরি করেছে। আমরা তখন থেকেই বসেই আছি। ফলে অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই রোগীর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪০০ শয্যার করোনা হাসপাতালে শুক্রবার ৯০ জন রোগী ভরতি আছে। রোগীর মাথার কাছে অক্সিজেনের ব্যবস্থা আছে। ফলে ভরতি না করার কোনও কারণ নেই। শোভন দে জানান, যেহেতু পথে রোগীর মৃত্যু হয়েছে তাই করোনা বিধি মেনেই আজ শনিবার রোগীর দেহের ময়নাতদন্ত হবে। তখনই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ।

[আরও পড়ুন: ‘মানসিক অবসাদে সিদ্ধান্ত’, লিভ ইন পার্টনারের বাড়িতে ‘আত্মহত্যা’র আগে ভয়েস রেকর্ড মহিলার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ