বনগাঁয় ঘটনার পর শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: সর্ষের মধ্যেই ভূত! যাদের উপর আবাস তালিকা সমীক্ষার দায়িত্ব ছিল, এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর দুই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে এই মারাত্মক অভিযোগ সামনে এসেছে।
সঞ্জয় বসু এবং বিশ্বজিৎ মিত্র দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি কর্মী হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। আবাস যোজনার সমীক্ষার দায়িত্বেও ছিলেন তাঁরা। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রকৃত প্রাপকদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে বদলে অন্যদের নাম তালিকভুক্ত করা হয়েছে। জয়া বিশ্বাস এবং রামপ্রসাদ সরকার আবাসের প্রকৃত প্রাপক। কিন্তু তাঁদের বদলে রাজকুমার এবং রামপ্রসাদ সিংহের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সরকারি কর্মী সঞ্জয় বসু এই নাম বদল করেছেন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, বিশ্বজিৎ মিত্রও তালিকায় থাকা একজনের নাম বদলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনা জানাজানি হতেই পুরসভার দুই কর্মীর বিরুদ্ধে শুরু হয় তদন্ত।
ঘটনা জানাজানি হতেই দুজনকে শোকজ করা হয়। কিন্তু তারপরেও তাঁরা সঠিক কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। বনগাঁর বিডিও শেষপর্যন্ত ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রশাসন জানিয়েছে, অযোগ্যদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢুকে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে তা ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক কাজিয়া শুরু হয়েছে।
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধানরা অভিযোগ করেছিলেন নাম-পদবী পরিবর্তন করে একাধিক দুর্নীতি হচ্ছে। জেলাশাসককে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুজন কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে যুক্তদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।” বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া বলেন, “আমরা বারবার দুর্নীতির অভিযোগ তুলছি। এই অভিযোগ যে সত্য, সেটাই প্রমাণিত হল।” বিজেপি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, “এই দুজন শুধু জড়িত নন। এর মধ্যে তৃণমূলের লোকজন রয়েছেন।” যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে নারাজ ওই দুই সরকারি কর্মী। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.