Advertisement
Advertisement

Breaking News

councilor of Barasat

ওয়ার্ডের উন্নয়ন চান, সাম্মানিক ভাতাও দান করলেন বারাসতের কাউন্সিলর

কাউন্সিলরের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন জনপ্রতিনিধি থেকে এলাকাবাসী।

councilor of Barasat donated his honorary allowance for development | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:April 5, 2022 8:25 pm
  • Updated:April 5, 2022 8:28 pm

অর্ণব দাস, বারাসত: মাসিক সাম্মানিক ভাতা নেবেন না, সেই টাকা নিজের ওয়ার্ডের উন্নয়নের কাজে খরচ করতে চান। মঙ্গলবার বারাসত পুরসভার (Barasat Municipality) চেয়ারম্যানের কাছে এই আবেদন জানালেন ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ডাঃ বিবর্তন সাহা (Dr. Bibartan Saha)। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কাউন্সিলরের আবেদন পত্রটি ইতিমধ্যেই ফিনান্সিয়াল অফিসারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন চেয়ারম্যান। নাগরিক পরিষেবার জন্য কাউন্সিলরের এহেন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধি থেকে এলাকাবাসী সকলেই।

বাম দুর্গ বলে পরিচিত বারাসত পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন চিকিৎসক বিবর্তন সাহা। সম্প্রতি তিনি ওয়ার্ডের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ায় উদ্যোগী হয়েছেন। এবার কাউন্সিলরের সাম্মানিক ভাতার টাকা ওয়ার্ডের উন্নয়নে কাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিলেন। এই মর্মে চেয়ারম্যানকে আবেদনও জানিয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৩৪, মৃত্যু শূন্য]

এই বিষয়ে কাউন্সিলার ডাঃ বিবর্তন সাহা বলেন, “উন্নয়নের নিরিখে ২১ নম্বর ওয়ার্ড অনেকটাই পিছিয়ে। প্রতি ওয়ার্ডের উন্নয়নের টাকা যেমন আসবে, সেই অনুযায়ী কাজ তো হবেই। পাশাপাশি ৫ বছরে কাউন্সিলর হিসেবে আমার সাম্মানিক ভাতা হবে তিন লক্ষ টাকা। এই টাকাও এলাকার উন্নয়নে খরচ করতে চাই। এদিন পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত ভাবে সেই আবেদন জানিয়েছি।”

Advertisement

এই বিষয়ে বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান (Municipality Charman) অশনি মুখোপাধ্যায় (Ashani Mukhopadhyay) বলেন, “আমার কাছে কাউন্সিলর এই বিষয়ে আবেদন জানিয়েছেন। আমি সেই আবেদনের পত্র পুরসভার ফিনান্সিয়াল অফিসারকে ফরওয়ার্ড করে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের প্রতি মাসের সাম্মানিক ভাতা ডিডাকশন করতে বলেছি।”

[আরও পড়ুন: ভিডিও কল রিসিভ করতেই আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি নগ্ন যুবতীর, টাকা আদায়ের চেষ্টা! পুলিশের দ্বারস্থ বামনেতা]

অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে, এলাকা উন্নয়নের টাকা এলেও তা খরচ করে উঠতে পারেন না জনপ্রতিনিধিরা। অথচ সেই এলাকা নিয়ে হাজারও অভাব-অভিযোগ রয়েছে বাসিন্দাদের। এক্ষেত্রে সেই টাকা খরচের পাশাপাশি নিজের ভাতাকেও পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়নের কাজে লাগানোর কথা ভেবেছেন এবং সেই মতো চেয়ারম্যানের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন কাউন্সিলর। যার প্রশংসা করছেন জনপ্রতিনিধি থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ