Advertisement
Advertisement

Breaking News

North Dinajpur

বাবার গায়ে থুতু, প্রতিবাদ করায় দাদা-বউদিকে শাবল দিয়ে খুন যুবকের!

অভিযুক্ত ভাই জগবন্ধু পোদ্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Couple murder in North Dinajpur, Accused arrested

প্রতীকী ছবি।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:March 31, 2024 2:38 pm
  • Updated:March 31, 2024 2:38 pm

শংকর কুমার রায়, রায়গঞ্জ: বাবার মুখে থুতু ছিটানোর প্রতিবাদ করায় দাদা ও বউদিকে শাবল দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) করণদিঘি ক্ষেত্রাবাড়ির বালিয়াদিঘি এলাকার। নিহত দাদা দীনবন্ধু পোদ্দার এবং তাঁর স্ত্রী কাজল পোদ্দার। নৃশংস হত্যালীলা চালানোর পর পালানোর চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হল না। অভিযুক্ত জগবন্ধু পোদ্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক বিবাদ চলছিল দুই ভাই দীনবন্ধু পোদ্দার ও জগবন্ধু পোদ্দারের মধ্যে। রবিবার তেমনই বচসা চলাকালীন বাবার গায়ে থুতু ছেটায় জগবন্ধু। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় দীনবন্ধু। মুহূর্তে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। অভিযোগ, শোওয়ার ঘরের কোণে রাখা লোহার শাবল দিয়ে দাদার মাথায় এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করে ভাই। তাঁর চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে স্ত্রী ছুটে এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, মাথায় একের পর এক শাবলের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দাদার।

Advertisement

[আরও পড়ুন : প্রার্থীর সামনেই তুলকালাম তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর, মন্দিরে ‘আশ্রয়’ নিয়ে মাথায় হাত কীর্তির]

এরপরও অবশ্য থামেনি জগবন্ধু। এরপর তাঁর রাগ গিয়ে পড়ে বউদি কাজল পোদ্দারের উপর। দিশাহীনভাবে বউদির মাথাতেও শাবল দিয়ে আঘাত করে অভিযুক্ত। এরপর মেঝেতেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন কাজল। খরব পেয়ে প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। সাতসকালে জোড়া খুনের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন : নদিয়ায় সভার কয়েক ঘণ্টা আগে ঝড়ে লণ্ডভণ্ড মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল, চিন্তায় আয়োজকরা]

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। অনুসন্ধান চালিয়ে অভিযুক্ত জগবন্ধু পোদ্দারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে। রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সানা আকতার বলেন, “অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ