Advertisement
Advertisement

Breaking News

কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতাল

মিলেছে ICMR-এর অনুমোদন, এবার থেকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালেও হবে করোনা পরীক্ষা

মাত্র একদিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে রিপোর্ট।

Covid test centre opened in Kalyani's JNM hospital
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 9, 2020 9:43 pm
  • Updated:June 9, 2020 9:43 pm

বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: আর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট আসার জন্য বেশি সময়ের অপেক্ষা করতে হবে না। কারণ, এবার থেকে কোভিড টেস্ট হবে নদিয়ার কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালেই। রিপোর্ট পাওয়া যাবে মাত্র একদিনের মধ্যেই। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ট্রায়াল টেস্ট। আপাতত ওই হাসপাতালের আইসোলেশনে ভরতি থাকা করোনা সন্দেহভাজন ৩০ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। দেখে নেওয়া হচ্ছে, মেশিন ঠিকমতো কাজ করছে কিনা। রিপোর্ট ঠিকঠাক আসছে কিনা। সব ঠিকঠাক থাকলে কিছুদিন পর থেকেই প্রায় ২০০ জনের কোভিড টেস্ট করা যাবে। 

তবে এই হাসপাতালে শুধুমাত্র নদিয়া জেলার করোনা সন্দেহভাজনদেরই পরীক্ষা হবে কি না, সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। এ প্রসঙ্গে ওই হাসপাতালের সুপার ডা: অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “সেটা সম্পূর্ণই স্বাস্থ্য দপ্তরের সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করছে। তারা যদি সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে যে কোন জেলার মানুষেরই পরীক্ষা হতে পারে।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ICMR-এর অনুমতিপত্র এসে গিয়েছে। তা আসার পরেই ওই হাসপাতালে ভরতি থাকা ৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে মঙ্গলবারই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে পরীক্ষার জন্য।

Advertisement

কোভিড টেস্টের ল্যাব হতে পারে, এমন সবুজ সংকেত মিলতেই কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাত্র ৬-৭ দিনের মধ্যেই বায়োসেফটি ল্যাব প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে যায়। টেস্টের মূল মেশিন আইটিপিসিআর বাইরে থেকে আনতে কিছুটা সময় লাগবে। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শংকর কুমার ঘোষ এবং আইজার কলকাতার ডিরেক্টর সৌরভ পাল। তাঁরাই সহযোগিতা করেছেন দুটি মেশিন দিয়ে। যদিও সহযোগী মেশিন লেবেল টু-সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভাইরোলজিস্টকে নিয়োগও করা হয়েছে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টা অসহ্য পেটের যন্ত্রণা, বিনা চিকিৎসায় ট্রেনেই মৃত্যু রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকের]

যদিও তড়িঘড়ি ল্যাব প্রস্তুত করে টেস্টের কাজ শুরু করতে পারার জন্য এই হাসপাতালের সুপার নদিয়ার জেলাশাসক বিভু গোয়েল-সহ সবার উদ্যোগের কথা স্বীকার করেছেন। জেলাশাসক বলেন, “বাইরে থেকে আইটিপিসিআর মেশিন আনতে কিছুটা সময় লাগত। তবে ওই মেশিন চলে গেলে নিজস্ব পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাবে।” এতদিন জেলা থেকে কলকাতার নাইসেডে নমুনা পাঠাতে হত। নিয়ে যেতে লাগত বেশ কিছুটা সময়। আবার রাজ্যের সব প্রান্ত থেকেই আসছে নমুনা। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। ফলে নাইসেডে ক্রমশ বাড়ছিল চাপ। স্বভাবতই রিপোর্ট আসতে লেগে যেত বেশ কিছুটা সময়। এবার সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি হতে চলেছে বলেই জানান অনেকেই। 

[আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে গিয়েছিলেন কেরলে, মাঝপথেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বাসচালকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ