Advertisement
Advertisement

বিএসএফের জালে বাংলাদেশি গরু পাচারকারী, জেরায় মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

দু’হাজারের জাল নোট পাচারের দায়িত্ব নিয়েই ভারতে আসে সুকুর।

Cow trafficker arrested in Gaighata

ধৃত সুকুর আলির সঙ্গে উদ্ধার হওয়া জাল নোট।

Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:November 4, 2018 4:51 pm
  • Updated:November 4, 2018 4:51 pm

নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: বেআইনি অনুপ্রবেশের সময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হাতেনাতে গ্রেপ্তার গরু পাচারকারী। ধৃতের নাম সুকুর আলি। বাড়ি বাংলাদেশের নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকার তারাপুর গ্রামে। ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হওয়া গরুর সীমান্ত পারাপারের দায়িত্ব ছিল সুকুর আলির উপরে। গরু পারাপারের কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের টাকা নিতে এসেই ধরা পড়ে যায় সে। তার কাছ থেকে ভারতীয় ২০০০ টাকার ৪৯১টি জাল নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে নামী সংস্থার মোবাইল ফোন, ভারতীয় মুদ্রায় পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা ও বাংলাদেশের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গরু পাচারকারী সুকুর শনিবার সন্ধ্যায় গাইঘাটা থানার আংরাইল সীমান্ত এলাকা থেকে ধরা পড়েছে। সন্ধ্যার সময় সীমান্ত পারাপার করতে গিয়েই কর্তব্যরত বিএসএফের নজরে পড়ে যায় ওই বাংলাদেশি। একেবারে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। পরে গাইঘাটা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।

Advertisement

[কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে গুলি চলল চোপড়ায়, মৃত ১]

ধৃত সুকুর মূলত গরু পাচারকারী। ভারত থেকে গরু বাংলাদেশে পাচারের দায়িত্ব এতদিন তার কাছেই ছিল। বেশ কয়েকজন শ্রমিককে নিজের তত্ত্বাবধানে রেখে এই কাজ করত সে। বাংলাদেশের পুটখালির রিয়াজুল, কামাল, নাসির নামের তিন গরু পাচারকারীর সঙ্গেই যাবতীয় শলা পরামর্শ করে এই কাজ চলত। এদিকে দীর্ঘদিন পাচারের কাজে শ্রমিক নিয়েও তাদের পাওনা মেটাচ্ছিল না কামাল, নাসিররা। সেই লক্ষাধিক টাকা হাতে না পেলে কারবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সুকুর। এদিকে গরু পাচার রুখতে দুই দেশের সীমান্তে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতেই অন্তরালে চলে যায় সে। শুধু ব্যবসার হালচাল জানতে মাঝেমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে আসত। মুর্শিদাবাদে বোনের বাড়িতে থেকে স্থানীয় পাচারকারীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করত।

Advertisement

সম্প্রতি নাসির, কামালদের কাছে সে শ্রমিকদের পাওনা মেটানোর কথা বলে। তখন ওই দু’জন তাঁকে ৪৯১টি দু’হাজার টাকার জালনোট দিয়ে মালদহের দুই পাচকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। এই দুই পাচারকারী হল কামরান ও আখতার। তাদের বাড়ি মালদহের কালিয়াচকে। বলা হয়, সুকুরের সঙ্গে নেওয়া জাল নোট মালদহের ওই দু’জনের হাতে তুলে দিতে পারলেই তার কর্মীদের বেতন মিটিয়ে দেওয়া হবে। এই বলে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ সুকুরকে বিজিবি-র নজর এড়িয়ে আংরাইল সীমান্ত পারাপারের ব্যাবস্থা করে দেয় পুটখালির রিয়াজুল, কামাল, নাসির। বিজিবির চোখকে ফাঁকি দিলেও বিএসএফের নজরে পড়ে যায় সুকুর আলি। ফাঁস হয়ে যায় জালনোট সংক্রান্ত যাবতীয় খবরাখবর।

[জাতীয় সড়কে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার ৩০০ কেজি গাঁজা, ধৃত ১]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ