Advertisement
Advertisement

সদস্যরাই পড়ছেন না পার্টির পত্রপত্রিকা, আক্ষেপ আলিমুদ্দিনের

সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব মনে করছে, সদস্যদের ক্ষেত্রে পার্টির পত্র-পত্রিকাগুলি কেনা ও পড়াটা যেমন আবার বাধ্যতামূলক করা উচিত, তেমনই পত্রিকাগুলিতেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন৷

CPM Candidates Lost Their Interest Of Reading Party's Magazines
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 23, 2016 11:17 am
  • Updated:August 23, 2016 11:17 am

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত ও রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কেনা তো দূরের কথা, পার্টি সদস্যরা পার্টির পত্রিকাই পড়ছেন না৷ এমনই আক্ষেপ আলিমুদ্দিনের৷ প্লেনামের খসড়া রিপোর্টের ১৬ নম্বর পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে, পার্টির পত্রিকাগুলি যাদের কেনা ও পড়া উচিত বেশিরভাগই তা করছেন না৷ এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পার্টি সংগঠনকে এই বিরাট ঘাটতি দূর করতে সময়ভিত্তিক কর্মসূচি নিতে হবে৷ পরিস্থিতি এমনই করুণ যে রিপোর্টে নিদান দিয়ে বলা হয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে পার্টি সদস্যদের কোনও না কোনও পত্রিকার গ্রাহক হওয়া সুনিশ্চিত করতে হবে৷
রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর সংগঠন ভেঙে চুরমার, সদস্য সংখ্যা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে৷ একইসঙ্গে সিপিএমের মুখপত্র থেকে শুরু করে পার্টির বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা বিক্রির সংখ্যাও অর্ধেকের বেশি কমে গিয়েছে৷ সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, কর্মী-সমর্থকরাও পার্টির পত্রিকা কেনার আগ্রহ হারিয়েছেন৷ আর সবচেয়ে বড় বিষয় পার্টির বহু সদস্যই পত্রিকা কিনছেন না৷ সদস্যদের পত্রিকা নেওয়াটা যেখানে বাধ্যতামূলক৷ শুধু পার্টির পত্রিকাগুলিই নয়, ছাত্র-যুব-শ্রমিক-সহ সিপিএমের বিভিন্ন গণসংগঠনের মুখপত্রগুলিও হাতে গোনা কয়েকজন নিচ্ছেন৷ নামকাওয়াস্তে বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে৷ তাই সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব মনে করছে, সদস্যদের ক্ষেত্রে পার্টির পত্র-পত্রিকাগুলি কেনা ও পড়াটা যেমন আবার বাধ্যতামূলক করা উচিত, তেমনই পত্রিকাগুলিতেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন৷ প্লেনামের খসড়ায় বলা হয়েছে, সব পার্টি পত্রিকার আঙ্গিক ও বিষয়বস্তুর উন্নতি ঘটাতে পদক্ষেপ করতে হবে৷ সব পত্রিকাকে অনলাইন-এ নিয়ে আসতে হবে৷ অর্থাৎ পত্রিকাগুলি কেনা বা পড়ার ক্ষেত্রে যাতে পার্টির সদস্য কিংবা কর্মীরা আগ্রহ পান সেই প্রচেষ্টা করতে হবে৷
পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে সোশ্যাল মিডিয়াকে পুরোমাত্রায় ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে প্লেনামের খসড়া রিপোর্টে৷ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণের কাছে পার্টির রাজনৈতিক ও আদর্শগত বার্তা পৌঁছে দিতে হবে৷ দলের প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সিপিএমের থেকে কংগ্রেস ও বিজেপি, এমনকী শাসক তৃণমূলও অনেক এগিয়ে৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের বিরোধী দলগুলির মধ্যে বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়াকে পুরোমাত্রায় ব্যবহার করেছিল দলের প্রচারের কাজে৷ সোশ্যাল মিডিয়ার আলাদা টিম তৈরি করেছিল গেরুয়া শিবির৷ সেদিক থেকে আলিমুদ্দিন অবশ্য অনেকটাই পিছিয়ে৷ কাজেই ভবিষ্যৎ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সোশ্যাল মিডিয়াকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন আলিমুদ্দিনের ম্যানেজাররা৷ সেই ইঙ্গিতও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে প্লেনামের খসড়া রিপোর্টে৷

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ