Advertisement
Advertisement

Breaking News

উপনির্বাচনে জোট ভেঙে অস্বস্তিতে বাম-কংগ্রেস

চার মাস আগের বন্ধু এখন উপনির্বাচনে বিরোধী৷

CPM Congress alliance has been broken, politicians now look for new issues
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 26, 2016 11:03 am
  • Updated:January 9, 2020 2:31 pm

রাহুল চক্রবর্তী: খাতায়-কলমে হাত-হাতুড়ি হাতছাড়া৷ মধুর সম্পর্কে যবনিকা পড়েছে৷ চার মাস আগের বন্ধু এখন উপনির্বাচনে বিরোধী৷ কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে কেন জোট ভাঙল, সেটাই ভোটারদের কীভাবে বোঝাবেন, তা নিয়ে চিন্তিত কংগ্রেস-সিপিএমের নেতারা৷

তেলে-জলে মিশ খায় না–এটাই সবাই জানে৷ রাজনীতির ময়দানেও তেল-জলের সম্পর্ক নেই, তা দেখিয়েছে মে মাসে অনুষ্ঠিত রাজ্যে বিধানসভা ভোট৷ কংগ্রেস-সিপিএম জোট বেঁধে লড়াই করলেও আশানুরূপ ফল করতে পারেনি৷ তৃণমূল ২৯৪টি আসনের মধ্যে একাই পায় ২১১টি আসন৷ সিপিএমের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে ধরা পড়েছে, তাদের প্রার্থীকে ভোট দেয়নি কংগ্রেস৷ এমনকী, কেন কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা হয়েছিল তা নিয়েও রাজ্য কমিটির বৈঠকেও তুমুল ঝড় ওঠে৷ প্লেনামেও বঙ্গ সিপিএম নেতাদের কৈফিয়ত দিতে হয়, কেন কংগ্রেসের হাত ধরা হয়েছিল৷ প্লেনামের পরই সিপিএম জানিয়ে দেয়, আর কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক নয়৷ এবার ‘একলা’ চলা৷ সেইমতো আসন্ন উপনির্বাচনেও কংগ্রেসের হাত ছেড়ে এককভাবেই প্রার্থী দেয় বামফ্রন্ট৷ আগামী ১৯ নভেম্বর তমলুক ও কোচবিহার লোকসভা এবং মন্তেশ্বর বিধানসভার উপনির্বাচন রয়েছে৷ ইতিমধ্যে তিনটি আসনেই প্রার্থীদের নাম বামফ্রন্ট ঘোষণা করে দিয়েছে৷

Advertisement

প্রথমে সমর্থনের ইঙ্গিত দিলেও সিপিএম কোনও সাড়া না দেওয়ায় প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রদেশ কংগ্রেসও৷ সোমবার রাজ্য কংগ্রেসের নির্বাচন কমিটির বৈঠকে তা পাসও হয়৷ দিল্লি চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে ঝাঁপিয়ে পড়বে কংগ্রেস৷ কিন্তু প্রচারে কোন বিষয়গুলিকে তুলে ধরা হবে, সেটাই প্রশ্ন৷ শুধুই তৃণমূলের সমালোচনা মানুষ শুনবেন না, সেটাও উপলব্ধি করেছেন কংগ্রেস-সিপিএমের নেতারা৷ বরং তাঁরা চিন্তিত, চার মাসেই জোট সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায়, সেটা জনগণকে বোঝাবেন কী করে৷ প্রচারে কী তুলে ধরা হবে?

Advertisement

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত বিধানসভা ভোটে দু’দলই কোনও বিকল্প পথের দিশা দেখাতে পারেনি৷ কোনও বিকল্প অর্থনৈতিক পথও বাতলাতে পারেনি দু’দলের জোট৷ শিল্প হয়নি বলে চিৎকার করলেও বিকল্প শিল্পনীতির কোনও খসড়া প্রকাশ করতে পারেনি৷ এই অবস্থায় তিনটি আসনের উপনির্বাচনে কোন ইস্যুকে সামনে রেখে লড়বে, তাই নিয়ে যেমন দিশাহীন অবস্থা সিপিএমের৷ তেমনই কিংকর্তব্যবিমূঢ় দশা কংগ্রেসেরও৷ জোট প্রসঙ্গে দু’দলের নেতাদের যুক্তি, বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস-সিপিএমের জোট হয়নি৷ ছিল আসন সমঝোতা মাত্র৷ দু’দলের নেতারা বলছেন, এটা উপনির্বাচন৷ ফলে পরস্পরকে দোষারোপ করে লাভ নেই৷ আগামী নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সম্পর্কের দিকে নজর নেতাদের৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ