Advertisement
Advertisement

জমায়েতের হালে হতাশ সিপিএম

সিপিএমের কৃষক সংগঠনের ব্যানারে এই জাঠা কর্মসূচি হয়েছে কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু-কাশ্মীর ও তামিলনাড়ু জুড়ে৷

CPM Jatha a flop show
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 24, 2016 12:42 pm
  • Updated:November 24, 2016 1:52 pm

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দলের কৃষক সংগঠনের জাঠা কর্মসূচি আদৌ আম জনতার মধ্যে কোনও প্রভাব পড়ল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সিপিএম পার্টির মধ্যেই৷ রাজ্যে দলের এই জাঠা কর্মসূচি সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি কৃষক ও খেতমজুরদের মধ্যে৷ বিভিন্ন জেলায় জমায়েতও আশানুরূপ হয়নি বলে রিপোর্ট পার্টির কাছে৷ কাজেই সংগঠন গোছানো তো দূর অস্ত, পার্টির কর্মী-সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতে ও জনমনে প্রভাব ফেলতে এই কর্মসূচি বাংলায় কার্যত ফ্লপ হল বলেই মনে করছে সিপিএম নেতৃত্বের একটা বড় অংশ৷

সিপিএমের কৃষক সংগঠনের ব্যানারে এই জাঠা কর্মসূচি হয়েছে কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু-কাশ্মীর ও তামিলনাড়ু জুড়ে৷ এই চারটি জায়গা থেকে আসা কেন্দ্রীয় জাঠাকে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে হবে সমাবেশ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক ও জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে গত ২ নভেম্বর থেকেই এ রাজ্যের বিভিন্ন্ জেলাতে জাঠা শুরু হয়৷ গত ৮ নভেম্বর ধর্মতলায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ করে ওড়িশা ও দক্ষিণবঙ্গের জাঠা দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল৷ ওইদিন দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ-ছয়টি জেলাকে নিয়ে ধর্মতলার সমাবেশে যে জমায়েত হয়েছিল তা দেখে হতাশ হয়েছিলেন বঙ্গের সিপিএম নেতারা৷ এছাড়া, জেলাভিত্তিক যে রিপোর্ট এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় জাঠা কর্মসূচিতে সেভাবে সাড়া মেলেনি৷ জমায়েতও আশানুরূপ হয়নি৷ একসময় গ্রামবাংলায় বামেদের জনভিত্তি আজ ভেঙে খান খান হয়ে গিয়েছে৷ গ্রামে গ্রামে সিপিএমের ভিত ছিল পার্টির কৃষক সংগঠন কৃষক সভাই৷ রাজ্যে বাম দুর্গ চুরমার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রামবাংলার কৃষিজীবী মানুষের আস্থা হারিয়েছে সিপিএমের কৃষক সংগঠন৷ এই পরিস্থিতিতে কৃষক সভার ব্যানারে জাঠা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সংগঠন গোছানোর কাজ যে কার্যত সফল হল না তা বুঝতে পারছেন আলিমুদ্দিনের কর্তারাও৷

Advertisement

তমলুক, মন্তেশ্বর ও কোচবিহারের উপনির্বাচনে জাঠা কর্মসূচির প্রভাব সিপিএমের ভোট বাক্সে পড়েনি৷ ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে৷ জাঠা কর্মসূচি কার্যত ফ্লপ হওয়ায় আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেও দলের রক্তক্ষরণ আদৌ বন্ধ করা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট ধন্দে আলিমুদ্দিন৷ কারণ, রাজ্য থেকে মানুষ বাম সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর পার্টির বিভিন্ন্ আন্দোলন জনমানসে কোনও প্রভাব ফেলতে পারছে না৷ একের পর এক নির্বাচনের ফলাফলেই সেটা প্রমাণিত৷ তেমনই যাদের দাবিদাওয়া নিয়ে এই জাঠা কর্মসূচি ছিল সেই কৃষক সমাজেও কোনও দাগ ফেলতে পারেনি সিপিএমের এই আন্দোলন৷ কেন্দ্র ও রাজ্যের বিরুদ্ধে নানাবিধ দাবি নিয়ে এই জাঠার প্রচারে কোনও খামতি রাখা হয়নি৷ তা সত্ত্বেও কর্মসূচিতে আশানুরূপ সাড়া কেন নেই তা নিয়ে সাংগঠনিকস্তরে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছেন কৃষকসভার নেতারা৷ একইসঙ্গে আজ রামলীলা ময়দানে কৃষক জাঠার কেন্দ্রীয় সমাবেশেও জমায়েত কতটা হয় সেদিকেও অবশ্য নজর রয়েছে পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের৷ রামলীলা ময়দানে কৃষক সমাবেশে জাঠার মূল ইস্যুগুলির থেকে নোট বাতিল ইস্যুটিই সামনে এসে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ