সৈকত মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুর: জমি বিবাদের ঘটনায় প্রতিবেশীকে লক্ষ্য করে গুলি। এই অভিযোগে আটক করা হল এক সিআরপিএফ জওয়ানকে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলবার থেকেই প্রসেনজিৎ শাসমল গুলি চালায় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত জওয়ান গুলি চালানোর কথা স্বীকারও করেছে। তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। সোমবার রাতে পাঁশকুড়া উখড়াপাড়া এলাকায় এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়।
[স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন ট্রাম্পের, কী বললেন?]
স্থানীয় সূত্রে খবর, খণ্ডখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উখড়াপাড়ায় জমি নিয়ে শাসমল পরিবারের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। কয়েক বছর আগে এলাকার বাসিন্দারা বৈঠক করে ঝামেলা মিটিয়েছিলেন। সম্প্রতি নতুন করে গণ্ডগোল শুরু হয়েছিল। অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ ওড়িশার সম্বলপুরে চাকরি করেন। দিন দুয়েক আগে ওই জওয়ান বাড়ি ফিরেছিলেন। প্রসেনজিৎ দেখেন, বাড়ির পাশে পুকুরে যাওয়ার রাস্তায় মাটি ফেলেছে প্রতিবেশীরা। যে রাস্তা তাঁদের। বিতর্কিত জমিতে রাস্তা তৈরি করায় ক্ষুব্ধ হন প্রসেনজিৎ। এই নিয়ে ব্যবস্থা করার কথা বললে বাবা সীতারাম শাসমলের সঙ্গে তাঁর একপ্রস্থ বচসা হয়। সীতারামবাবু বিষয়টি মেনে নিলেও ছেলে তা চাননি। অভিযোগ রাত এগারোটা নাগাদ মত্ত অবস্থায় প্রতিবেশী দুই আত্মীয়র বাড়িতে ওই জওয়ান লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলবার নিয়ে চড়াও হয়। গালিগালাজের পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দেয়। দরজায় লাথি মারে। প্রতিবেশী গোবর্ধন শাসমলের স্ত্রী ঝর্ণা তাঁকে নিরস্ত্র করতে এগিয়ে আসেন। এতে প্রসেনিজতের রাগ আরও চড়ে যায়। অভিযোগ ক্ষিপ্ত হয়ে ঝর্ণাদেবীকে লক্ষ্য করে তিনি গুলি চালান। গুলি কান ঘেঁষে বেরিয়ে চলে যায়। গুলির আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার লোকজন। সকালে এখবর জানাজানি হতে গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত খবর দেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ওমপ্রকাশ জানা পুলিশকে বিষয়টি জানান। বেলার দিকে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রসেনজিতকে আটক করা হয়। লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলবারটিও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
[কেরলের স্কুলে পতাকা উত্তোলনে ‘বাধা’ মোহন ভগবতকে]
পাঁশকুড়া থানার ওসি মদনমোহন রায়ের বক্তব্য, প্রতিবেশীকে লক্ষ করে ব্ল্যাঙ্ক ফায়ার করার অভিযোগে ওই সিআরপিএফ জওয়ানকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলবারটি।