সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাসবই আপডেট করালেই নাকি অ্যাকাউন্টে বাড়তি ঢুকে যাচ্ছে প্রায় ১ লক্ষ টাকা। এই গুজবে ভিড় আছড়ে পড়ল কাঁকিনাড়ার এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্ককর্মীরাও পর্যন্ত বুঝিয়ে পারেননি যে বিষয়টি তা নয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা!
[বিক্ষিপ্ত অশান্তি বাদে সবংয়ে উপনির্বাচন শান্তিতে, ভোট পড়ল ৮৫%]
বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্ক খুলতেই লম্বা লাইন। কাঁকিনাড়ার আতপুরে এসবিআইয়ের শাখায় এমন উপচে পড়া ভিড় দেখে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। গত বছর নোটবাতিল পর্বে ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে যেমন ভিড়াক্কার থাকত, ঠিক সেই ছবি। আসলে গ্রাহকরা যেন গুপ্তধনের খোঁজে ব্যাঙ্কে ছুটে গিয়েছিলেন। কেউ নাকি জানিয়েছিল, তার পাসবই আপডেট করিয়ে ৯৯,৯৯৯ টাকা মিলেছে। এই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। কালক্ষেপ না করে লক্ষ্মীবারে সকাল সকাল গ্রাহকদের স্রোত কার্যত আছড়ে পড়ে ব্যাঙ্কের দরজায়। যার পাসবইতে এই টাকা দেখা গিয়েছিল তার জনধন যোজনা প্রকল্পে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কিন্তু কে এই গ্রাহক তার খোঁজ না নিয়ে পাগলের মতো লোকজন ব্যাঙ্কের সামনে ভিড় করতে থাকেন। এর মধ্যে ব্যাঙ্কের কর্মীদের থেকে এক এক রকম ব্যাখ্যা পেয়ে গ্রাহকদের মধ্যে বিভ্রান্তি বাড়ে। শেষ পর্যন্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানায় এমন কিছু হয়নি। তবু গ্রাহকদের বড় অংশ তা শুনতে রাজি নয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ডেকে পরিস্থিতি সামলাতে হয়।
[ছুটিতে দিঘার হোটেলের ভাড়া আকাশছোঁয়া, কোন চক্র সক্রিয় জানেন?]
এত কাণ্ডের পর যারা পাসবই আপডেট করাতে পেরেছিলেন তাদের অবশ্য চক্ষু-কর্ণের বিবাদ কাটাতে বেশি সময় লাগেনি। কেউ কেউ বলতে থাকেন তাদের হয়নি মানে অন্যদের হবে না এমন কথা কী করে হয়! এই আশায় অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। এক দিনে একসঙ্গে কয়েকশো গ্রাহকের ভিড়ের জন্য ব্যাঙ্কের পরিষেবা কার্যত লাটে ওঠে। যে এলাকায় রয়েছে ব্যাঙ্কটি, সেখানে মূলত হিন্দিভাষীদের বাস। পড়াশোনার হারও খানিকটা কম। এলাকার বাসিন্দার বক্তব্য, অজ্ঞতার কারণে গ্রাহকরা ১ লাখ টাকার বিষয়টি যাচাই না করে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন। বেলা গড়িয়ে বিকেল হওয়ার পর অনেকে বুঝতে পারেন বড় ভুল হয়েছে। ততক্ষণে ভোগান্তির একশেষ।