সুমন করাতি, হুগলি: অগ্নিকাণ্ড যেন পিছু ছাড়ছে না ডানকুনির (Dankuni)। মঙ্গলবার সকালে ডানকুনির আলুর চিপসের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন (Fire) লাগে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। জানা গিয়েছে, প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল কারখানায়। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তার উপর জলের অভাব থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের।
ডানকুনিতে ধারাবাহিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেই চলেছে। আবারও ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে একটি আলুর চিপসের (Chips) কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডানকুনি থানার পুলিশ ও দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: ঠিক কী হয়েছিল সেই রাতে? ওড়িশা দুর্ঘটনার আগের মুহূর্ত নিয়ে মুখ খুললেন করমণ্ডলের চালক]
তবে দমকল কর্মীরা জানান, আগুন নেভানোর সময় জল সংকট দেখা দেয়। ফলে আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময় লাগে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে আপাতত আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন দমকল কর্মীরা। এই কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সাফ জানিয়েছেন, ”এখানে প্রচুর প্লাস্টিক, গুঁড়ো, কাঁচামাল ছিল। তাই আগুন তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা আগুন নেভাতে গিয়ে জলের অভাব টের পেয়েছি। সেটা খুবই সমস্যার। এখন এসব বড় বড় কারখানাগুলিতে ঘনঘন এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এখানে যে ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা থাকা দরকার, সেসব অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নেই। তাই আগুন লাগলে তা নেভাতে গিয়ে আমাদের কর্মীদের কার্যত লড়াই করতে হয়। অনেকটা সময় লেগে যায় আগুন নেভাত।”
[আরও পড়ুন: অভিযোগ স্বীকার করতে চাপ ইডির, কুন্তলের সুরই ‘কালীঘাটের কাকু’র গলায়]
আর তাঁর এই কথাতেই চিপস কারখানার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। তবে কারখানায় কীভাবে আগুন লাগল এবং কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।