সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহু দিন পর নতুন বছরে ফের প্রকাশ্যে বিমল গুরুং। ঘুরপথে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার বার্তা দিলেন দেশদ্রোহিতায় অভিযুক্ত মোর্চা সুপ্রিমো। এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গুরুং বুঝিয়েছেন গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন তিনি চালিয়ে যাবেন। তবে গুরুংয়ের এই চাল পাত্তা দিচ্ছে না রাজ্য। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের সাফ কথা আইনের চোখে গুরুং অপরাধী। তাঁর এই বার্তার কোনও গুরুত্ব নেই।
We have nothing against Bengal but our culture & traditions are different. Our demands are within framework of constitution. I’ll continue my crusade for Gorkhas. I have trust on judiciary & ready to co-operate with any independent org. I hope truth wins: Bimal Gurung, GJM Leader pic.twitter.com/WDu2EP1c70
— ANI (@ANI) January 11, 2018
[সংকল্প যাত্রার মিছিল আটকাল পুলিশ, দিঘায় বিজেপির যুব কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি]
পাহাড় থেকে কার্যত অতীত বিমল গুরুং। পুলিশি ধরপাকড়ের ভয়ে রীতিমতো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ইউএপিএতে অভিযুক্ত এই রাজনীতিক। মোর্চা সুপ্রিমোর অধিকাংশ সহযোগী তাঁকে ছেড়েছেন। গুরুংকে অতীত করে জিটিএর দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন বিনয় তামাং, অনীত থাপারা। একে একে সব বিধায়ক ভিড়েছেন বিনয়দের দিকে। গুরুংয়ের রাজ্যপাটে শেষ পেরেক পুঁতে দার্জিলিং পুরসভাও নিজেদের দিকে টেনে এনেছেন বিনয়পন্থীরা। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা গোর্খাল্যান্ড নিয়ে দাবি দিল্লিও সেভাবে মাথা না ঘামানোয় কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছেন বিমল গুরুং। একদিকে তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য রাজ্যের সাঁড়াশি আক্রমণ, অন্যদিকে কেন্দ্রের এই নীরবতার মধ্যে আচমকা প্রকাশ্যে এলেন মোর্চা সভাপতি। দিল্লির কোনও এক জায়গায় তিনি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই-কে এক সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে গুরুং দাবি করেন তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী নন। গোর্খাদের স্বত্ত্বা রক্ষার লড়াইয়ে তিনি চালিয়ে যাবেন। পাশাপাশি গুরুং জানান, ‘বাংলার মানুষের সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। সংবিধানের মধ্যে থেকে গোর্খাল্যান্ডের দাবি জানিয়েছি। নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করা উচিত। আমি আইন মেনে চলি।’ রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা আলোচনার মাধ্যমে যাতে রাস্তা বেরোনো যায় তার জন্য এমন চাল দিলেন গুরুং। দার্জিলিং সমস্যা মেটানোর জন্য তিনি ঘুরপথে রাজ্যকে বার্তা দিয়েছেন।
[বালি খাদানে ট্রাক্টর চাপা পড়ে মৃত ২, গলসিতে উত্তেজনা]
তবে গুরুং অবস্থান বদলালেও তাকে তেমন আমল দিতে রাজি নয় শাসক শিবির। দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানান, গুরুং একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত। মহামান্য আদালত তাঁকে যে নির্দেশ দিয়েছিল তা মানেননি। মানুষের জীবন, সম্পত্তি নষ্ট করেছেন। সংবিধান ও দেশের আইন তিনি লঙ্ঘন করেছেন। তিনি যাই বলুন না কেন দেশের বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে। এধরনের বার্তার প্রশাসনের কাছে কোনও গুরুত্ব নেই বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন গৌতম দেব। তাঁর সংযোজন দেশের সংবিধান মেনে যারা চলে তাদের সঙ্গে আলোচনা চালাবে প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.