সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজো আসতে বাকি আর ১৫ দিন৷ উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্যের সব প্রান্তেই চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ৷ কিন্তু মণ্ডপ তৈরির সময় যে এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হবে, তা ভাবতেও পারেননি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের মিলন সংঘ ক্লাবের পুজো মণ্ডপের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা৷ মায়ের আগমনীর আগেই মণ্ডপের ভিতর থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ৷ দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়৷
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সহদেব আচার্য। বাড়ি অশোকনগর থানা এলাকার সেনডাঙায়৷ স্থানীয়রাই সোমবার সকালে সহদেববাবুর দেহ ঝুলতে দেখেন৷ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়৷ পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে৷ মৃতের বাড়িতেও খবর পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সহদেববাবু ওই ক্লাবের পুজো মণ্ডপ তৈরির কাজ করছিলেন। বেশ কিছুদিন আগে মিলন সংঘ ক্লাবের বারোয়ারি পুজোর মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে। তবে কাজ শুরু হলেও গত কয়েকদিন কোনও এক বিশেষ কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। এদিন এলাকার বাসিন্দারা কতটা কী কাজ হল, তা দেখতে মণ্ডপের ভিতরে ঢুকে পড়েন। তখনই দেখেন অর্ধসমাপ্ত মণ্ডপের ভিতরে থাকা বাঁশে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন ওই কর্মী। স্থানীয়রা প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও মৃত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে কোনও সমস্যা হয়নি। সহদেববাবুও মণ্ডপ তৈরির কাজেই সেখানে এসেছিলেন। এদিকে বাড়িতে খবর দেওয়া হলে জানা যায়, গত শনিবার থেকে নিখোঁজ ওই যুবক। শনিবার কাজে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে আর ফেরেননি। শনিবার রাতভর তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেন। তারপরেও ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা তাঁর খোঁজ পাননি। রবিবার সকালে অশোকনগর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হয়। ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ সোমবার সহদেববাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। গোটা ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
[জোরে গান শুনতে মানা, মাকে কুপিয়ে খুন কিশোরের]
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন সহদেব আচার্য। তবে কীকারণে আত্মহত্যা করেছেন, তা স্পষ্ট নয়। এই আত্মহত্যার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্গোপুজোর মণ্ডপে এহেন মর্মান্তিক ঘটনায় মৃতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে।