Advertisement
Advertisement

ডেঙ্গি রুখতে তৎপর পঞ্চায়েত, তৈরি হয়েছে ‘সোক-পিট’

পঞ্চায়েতের উদ্যোগে খুশি গ্রামবাসী।

Dengue elimination drive in Bongon
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 12, 2019 6:38 pm
  • Updated:March 12, 2019 6:38 pm

নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: ‘সোক-পিট’ তৈরি করে ডেঙ্গি-জ্বর রুখতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে পঞ্চায়েত৷ জমের থাকা জলে জন্ম হয় মশার। আর এর ফলেই প্রতি বছর বাড়ছে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের। সেই সমস্যা সমাধানে ডেঙ্গি রুখতে টিউবওয়লের চারিপাশে জল জমার মতো জায়গায় সোক-পিট তৈরি করল স্থানীয় পঞ্চায়েত। এর ফলে মশার উপদ্রব কমেছে গ্রামে। বনগাঁ ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের খেদাপাড়া গ্রামে মশার উপদ্রব কমে যাওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ।

[পুরনো সেনাপতিতেই ভরসা, দলের প্রয়োজনে সহযোদ্ধাদেরই এগিয়ে দিলেন মমতা]

স্থানীয়দের বক্তব্য, জ্বর-ডেঙ্গি রোধে এই অভিনব উদ্যোগ পথ দেখাবে রাজ্যের অন্য পঞ্চায়েত গুলোকে৷ পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের বছর গরমের শুরুতেই জ্বর-ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছিল বনগাঁ মহকুমার বিভিন্ন মানুষদের। বনগাঁ ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের খেদাপাড়া গ্রামে পতঙ্গ বাহিত জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন শতাধিক। তার মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মেলে। পঞ্চায়েতের  তরফ থেকে নিয়মিত এলাকায় ব্লিচিং ছড়ানো ও পরিছন্নতার কাজ চালানোর পরেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। তাই এবছর শীত বিদায় নিতেই মশা নিধনে উদ্যোগী স্থানীয় পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ, ব্লক প্রশাসন কর্তা, স্বাস্থ্য কর্তা ও ডেঙ্গু এক্সপার্টদের নিয়ে এলাকায় গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ করেন। কী কারণে পতঙ্গ বাহিত জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন এলাকার মানুষ তার সন্ধান শুরু করতেই জানতে পারেন টিউবওয়েলে জমে থাকা জলই এলাকার মশার একমাত্র আঁতুরঘর। এই জল থেকেই জন্ম নেয় মশা। আর সেই মশার কামড়েই স্থানীয়রা আক্রান্ত হয়েছেন জ্বরে। পঞ্চায়েত প্রধান প্রসেনজিৎবাবু বলেন, “বছর দুয়েক ধরে এলাকার মানুষের সঙ্গে আমরাও আতঙ্কে থাকতাম। তাই সমস্যর স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে জেলা শাসকের কাছে জানাই।”

Advertisement

[বিয়েবাড়িতে গুলি চালিয়ে উল্লাস! ভিডিও দেখলে আঁতকে উঠবেন]

জানা গিয়েছে, বিশেষ অনুমতি নিয়ে “এমজিএনআরইজিএ” প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার ১১২টি টিউবওয়েলে এই সোপ পিট তৈরি করা হয়েছে। খরচ হয়েছে প্রায় ৮.৫ হাজার টাকা। যার ফলে উপকৃত হয়েছেন স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে, শীত চলে গিয়েছে কিন্তু মশার উপদ্রব নেই, জ্বরও নেই গ্রামে।” এখনও প্রতিদিন গ্রামে গিয়ে সাফাইয়ের কাজ চালাচ্ছেন পঞ্চায়েত কর্মীরা। তারা জানিয়েছেন পতঙ্গবাহী জ্বর ফিরতে দেবেন না তাঁরা৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ