সৌরভ মাজি, বর্ধমান: কলকাতার স্কুলের শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হয়েছে চার বছরের ছাত্রী। আর পূর্ব বর্ধমানের একটি কলেজে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। যৌন নির্যাতনের আশঙ্কায় তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী কলেজে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
[জি ডি বিড়লার ছায়া রায়গঞ্জে, ৩ বছরের শিশুকন্যাকে ‘ধর্ষণ’]
ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুরের ড. ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ। অভিযোগ পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শুক্রবার স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি নিশিথ মালিক ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন। যদিও অভিযুক্ত অধ্যাপকের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দুর্নীতির প্রতিবাদ করাতেই এই অভিযোগ সাজানো হয়েছে। কলেজের বটানি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর মা গত মঙ্গলবার কলেজের অধ্যক্ষর কাছে বটানি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রাজনারায়ণ রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, বিভাগীয় প্রধান রাজনারায়ণ রায় তাঁর বাড়িতে প্রাইভেট পড়ানোর সময় ও কলেজে প্র্যাকটিক্যাল ল্যাবরেটরিতে নানা কারণ দেখিয়ে আটকে রাখতেন। কুপ্রস্তাব দেন। তাই বাধ্য হয়ে কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দেয় মেয়ে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। খুবই মারাত্মক বিষয়। কলেজ পরিচালন সমিতির বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।”
[প্রিন্সিপালের প্রশ্রয়ে অপরাধীদের বাড়বাড়ন্ত, স্কুল বন্ধের হুঁশিয়ারি]
কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা বিধায়ক নিশিথ মালিক ন্যায় বিচার পাওয়ার বিষয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে আশ্বস্ত করেছেন। একই সঙ্গে ওই ছাত্রীকে নির্ভয়ে ফের নিয়মিত কলেজে ক্লাস করতে বলেছেন তিনি। অভিযুক্ত রাজনারায়ণবাবু বলেন, “আমি কলেজ পরিচালন সমিতি-সহ বিভিন্ন কমিটিতে রয়েছি। বিভিন্ন বিষয়ে দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছি। অনেক বিষয়েই মনোমালিন্য হয়েছে। তার জন্যই এমন মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। যা বলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।” হোয়াটসঅ্যাপে ওই ছাত্রীর মেসেজ দেখিয়ে তাঁর দাবি, “ওই ছাত্রী নিজেই মেসেজ করে জানতে চাইছে কবে পড়তে আসবে। তাছাড়া ওই ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল। উনি বারবার আমাকে তাঁদের বাড়িতে যেতে বলেছেন। এখন কেন এমন অভিযোগ করা হচ্ছে বুঝতে পারছি না।” ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক অর্ণব দত্ত অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি করেছেন।
ছবি: মুকলেসুর রহমান
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.