সুব্রত বিশ্বাস: কলকাতা-সহ আশপাশের শহরতলি অঞ্চলের ব্যস্ততা বাড়তে থাকায় বৈদ্যুতিন ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেয় রেল। আজ থেকে ৬০ বছর আগে এই পরিষেবা বাস্তবে রূপ নেয় হাওড়া-শেওড়াফুলির মাঝে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু, মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় ও রেলমন্ত্রী বাবু জগজীবন রামের উপস্থিতিতে ১৯৫৭ সালে ১২ ডিসেম্বর প্রথম ইএমইউ ট্রেন চালু হয় হাওড়া থেকে শেওড়াফুলির মধ্যে। সেদিনের স্মরণে আজ মঙ্গলবার হাওড়া থেকে শেওড়াফুলির মাঝে একটি ইএমইউ লোকাল চালাল পূর্ব রেল। পূর্ব রেলের জিএম হরীন্দ্র রাও এদিন ট্রেনটিকে সবুজ সংকেত দিয়ে চলার সূচনা দেন।
১৯৫৪ সালে রেল বোর্ড প্রথম ৩০০০ ভোল্ট ডিসি ট্রাকশনের অনুমোদন দেয়। পরে বিদেশি অনুকরণে ২৫ কেভি এসি সিস্টেমে ট্রেন চালু হয়। প্রকল্প অনুমোদনের তিন বছর পর বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ হওয়ায় ১৯৫৭ সালের ১২ ডিসেম্বর ট্রেন চালু হয়। ১৯৬৫ সালে শেওড়াফুলি-বর্ধমান ও তারকেশ্বরের মাঝে বৈদ্যুতিক লাইনের কাজ শেষ হয়। ১৯৬৬ সালে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখা ও এসিসি লিঙ্কে বৈদ্যুতিক লাইন পাতা হয়। ফলে রেল পরিষেবা আরও দ্রুত লয়ে চলতে শুরু করায় মানুষের জীবনে এক বিশেষ পরিবর্তন আসে। ১৯৫৮ সালে টাইম টেবিল প্রকাশিত হয় যাতে এই ইএমইউ ট্রেনের উল্লেখ রয়েছে। এপ্রিল ও অক্টোবর দু’বার টাইম টেবিল প্রকাশিত হত। চাহিদা বাড়তে থাকায় রেল পরিষেবার উন্নয়নের পাশাপাশি ট্রেনও বাড়তে থাকে একই তালে। এখন সেই সংখ্যাটা নেহাৎ কম নয়। হাওড়া ডিভিশনে দিনে ৪৭৬টি ও শিয়ালদহে ৯১৭টি ট্রেন চলে। দৈনিক মোট ১৩৯৩টি শহরতলির ইএমইউ ট্রেন চলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.