টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: শ্রীক্ষেত্র দিঘা। জগন্নাথদেবের নবনির্মিত মন্দির এবার এ রাজ্যেরই সৈকত শহরে। কাজ শেষ। অক্ষয় তৃতীয়ার পবিত্র লগ্নে মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই জগন্নাথ দর্শন করতে পারবেন রাজ্যবাসী। গত এক সপ্তাহ থেকেই দিঘায় জগন্নাথ মন্দির ঘিরে চলছে বিশাল কর্মকাণ্ড। সময় যত এগিয়েছে, ততই তুঙ্গে উঠেছে প্রস্তুতি। পুজোর নানা উপাদান একে একে পৌঁছচ্ছে মন্দিরে। বাঁকুড়ার তিন হাজার পদ্ম এবং শুশুনিয়া পাহাড়ের ঝরনার জলে পুজো হবে জগন্নাথদেবের। সেই উদ্দেশে সোমবার বাঁকুড়া থেকে দিঘা রওনা হলেন সস্ত্রীক তৃণমূল নেতা। জানালেন, ৩০০৩টি পদ্ম নিবেদন করা হবে জগন্নাথদেবকে।
ছাতনার তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বঙ্কিম মিশ্র। তিনি সস্ত্রীক ও তাঁর অনুগামীরা সোমবার দুপুর নাগাদ মহাসমারোহে রওনা দিয়েছেন। সঙ্গে ঝুড়ি করে পদ্মকুঁড়ি। একে একে তিন হাজার তিনটি সাদা ও লাল পদ্ম রয়েছে তাতে। শুধু তাই নয়, টিন টিন জলও নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এই জল সাধারণ নয়, শুশুনিয়া পাহাড়ের ঝরনার পবিত্র ধারা। যাওয়ার পথে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বঙ্কিম মিশ্র জানান, ”আমরা ৩০০৩টি পদ্ম আর শুশুনিয়া পাহাড়ের জল নিয়ে যাচ্ছি দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে। বুধবার উদ্বোধন। আমরা আজই রওনা দিলাম। বুধবার এসব পুজোর কাজের জন্য তুলে দেব মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে।আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির গড়ে দিলেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ, গর্বিত। এবার থেকে রাজ্যের মানুষ পুরী যেতে না পারলে এখানেই জগন্নাথ দর্শন হয়ে যাবে।”
কিন্তুত ৩০০৩টি পদ্মই কেন? জগন্নাথের পুজোয় কি এমন কোনও রীতি আছে? তার জবাবে বঙ্কিমবাবু বললেন, ”না তেমন কিছু নয়। আমরা সবাই মিলে অনেক চেষ্টা করে এই ফুল জোগাড় করতে পেরেছি। আরও বেশি জোগাড় করতে পারলে ভালো লাগত।” মঙ্গলবার থেকে মহাযজ্ঞ, বুধবার দ্বারোদঘাটন মুখ্যমন্ত্রী হাত ধরে। সেই উপলক্ষে দলে দলে ভক্তরা এখন দিঘামুখী। ছাতনার তৃণমূল নেতাও যাচ্ছেন পুজোর উপকরণ নিয়ে। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের পুজোআচ্চার দায়িত্বে রয়েছেন পুরীর মন্দিরের অন্যতম পুরোহিত রাজেশ দ্বৈতাপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.