নিজস্ব চিত্র
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো চরম সিদ্ধান্তের আগে ফেসবুক পোস্ট। মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের পরদিনই উদ্ধার চিকিৎসকের দেহ। আর ওই ফেসবুক পোস্ট দেখে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কোয়ার্টার থেকে দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু, ধন্দে তদন্তকারীরা।
বছর পঞ্চাশের কল্যাণ আশিস ঘোষ, মেডিসিনের চিকিৎসক। ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। সম্প্রতি শিলিগুড়িতে বদলি হয়ে গিয়েছিল তাঁর। তবে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে কোয়ার্টার ছাড়েননি তিনি। সেখানেই বসবাস করছিলেন। সোমবার সকালে ওই হাসপাতালের কোয়ার্টার থেকে চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবার সূত্রে খবর, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় সম্প্রতি চিকিৎসকের মায়ের মৃত্যু হয়। শ্রাদ্ধানুষ্ঠান মিটেছে সদ্য। সোমবারই মৎস্যমুখী। সেদিন সকালেই চিকিৎসক পুত্রের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই রহস্য দানা বেঁধেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর ঠিক আগের মুহূর্তে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন ওই চিকিৎসক। ফেসবুক পোস্টের ছত্রে ছত্রে হতাশা। ওই পোস্ট দেখে পুলিশ তৎপর হয়। ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কোয়ার্টারে এসে চিকিৎসকের খোঁজ করে পুলিশ। তার পর কোয়ার্টারের দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করা হয়। মানসিক হতাশা নাকি তাঁর মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কী কারণেই বা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন চিকিৎসক, সেসব কিছুই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.