Advertisement
Advertisement

Breaking News

৫০০-১০০০ নোট নিতে অস্বীকার, দেহ পড়ে শ্মশানেই!

বৈদ্যুতিক চুল্লির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা বাতিল নোট নিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ৷

Due To 500-1000 Currency, Cremation Stopped In Crematorium
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 11, 2016 9:42 am
  • Updated:November 11, 2016 9:42 am

স্টাফ রিপোর্টার: নোট বাতিলের জেরে মরদেহের শেষকৃত্যও আটকে রইল শ্মশানে! অচল ৫০০ টাকার নোট নিতে নারাজ শ্মশানের কর্মীরা৷ ফলে বুধ ও বৃহস্পতিবার কোনও শবদাহ করা হয়নি মালদহের ইংলিশবাজারের সাদুল্লাপুর মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লিতে৷ অন্তত দশটি মৃতদেহের শেষকৃত্য না হওয়ায় রাতভর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় শ্মশানযাত্রীদের৷
এদিন বিকেলে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটেছে৷ মালদহ জেলা পরিষদের অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “শ্মশানে যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা বিষয়টি জানতেন না৷ ৫০০ ও ১০০০ টাকার বাতিল নোট ৭২ ঘণ্টা নেওয়া হবে শ্মশানেও৷ আমরা সেই সরকারি আদেশের বিষয়টি তাঁদেরকে বলে দিয়েছি৷ তারপর সমস্যা মিটে গিয়েছে৷ শুক্রবারও শ্মশানে বাতিল নোট নেওয়া হবে৷”
ইংলিশবাজারের সাদুল্লাপুর মহাশ্মশানের দায়িত্বে রয়েছে মালদহ জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ৷ মৃতদেহ দাহ করার জন্য বৈদ্যুতিক চুল্লি অপারেটের বরাত পেয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা৷ এখানে শবদাহ করতে হলে ৫৬০ টাকা জমা করতে হয়৷ কিন্তু বুধবার সকাল থেকে দূর-দূরান্ত থেকে যাঁরা মৃতদেহ দাহ করতে সাদুল্লাপুরে যান, তাদের কাছে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট ছিল৷ কেউ খুচরো বা ১০০ টাকার নোট নিয়ে যাননি৷ বৈদ্যুতিক চুল্লির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা বাতিল নোট নিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ৷
ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মৃতদেহ পড়ে থাকে শ্মশানেই৷ ইংলিশবাজার ব্লকের দুপুর-১ পঞ্চায়েতের লাথাটি গ্রামের বৃদ্ধা সজনী মণ্ডলের মরদেহ দাহ করতে যান নিকট আত্মীয়রা৷ পায়ে হেঁটেই মৃতদেহ তাঁরা শ্মশানে নিয়ে যান৷ মৃতার ছেলে সুজয় মণ্ডলের অভিযোগ, “আমার কাছে দু’টি ৫০০ টাকার নোট ছিল৷ কিন্তু চুল্লির কর্মীরা সেই নোট নেননি৷ আশপাশের দোকানগুলিতেও খুচরো মেলেনি৷ প্রধানকে ফোন করেছিলাম৷ তারপরও রাতভর শবদাহ করা হয়নি৷”
মোথাবাড়ি থেকে আত্মীয়র মৃতদেহ এনেছিলেন বিশ্বনাথ রজক, প্রীতম রজকরা৷ তাঁরাও ক্ষোভে ফেটে পড়েন৷ জনা পঞ্চাশেক শবযাত্রীর সঙ্গে সেখানে তুমুল বচসা হয়৷ তারপর এদিন দুপুরে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের গোচরে আসে বিষয়টি৷ গ্রামীণ এলাকা থেকে আসা শ্মশানযাত্রীদের অভিযোগ, তাঁদের বাড়িতেও খুচরো টাকা ছিল না৷ তবু বৈদ্যুতিক চুল্লির কর্মীরা কিছুতেই মেনে নেননি৷ যদুপুরের বাসিন্দা নিবারণ মণ্ডল ও সৌকত সরকারদের অভিযোগ, “শ্মশানের আশপাশে কিছু লোকজন রয়েছে৷ তাঁরাও চুল্লির কর্মীদের পক্ষ নিয়ে নেন৷ ফলে কিছুই করার ছিল না শ্মশানযাত্রীদের৷ সমস্যাটিতে দেখতে জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেন স্বয়ং জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী৷ তারপরই বাতিল ৫০০ টাকায় নোট নিয়েই শবদাহ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়৷

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ