সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ঠিকমতো হাঁটাচলার অবকাশও নেই। এই পরিস্থিতিতে কোনও যানবাহন চলাচলও সম্ভব নয়। তাই তো পাড়ায় ঢুকতে পারেনি অ্যাম্বুল্যান্সও। এই পরিস্থিতিতে কাঁধে করে প্রায় আধ কিলোমিটার রাস্তা নিয়ে যাওয়া হয় সাপে কামড়ানো যুবককে। কিন্তু বেহাল রাস্তা দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স চালিয়ে হাসপাতালে পৌঁছতে লেগে যায় অনেক বেশি সময়। আর ঠিক সময়ে হাসপাতালে না পৌঁছতে পারায় মৃত্যুই হল তাঁর। এই ঘটনার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছেন বাঁকুড়ার (Bankura) পাত্রসায়রের হদলনারায়ণপুর গ্রামের রুইদাস পাড়ার বাসিন্দারা।
শুক্রবার রাতে হদলনারায়ণপুর গ্রামের রুইদাস পাড়ার বাসিন্দা বছর কুড়ির বাপন রুইদাসকে বিষধর সাপে কামড় দেয়। বাপনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স ডাকে গ্রামবাসীরা। কিন্তু বেহাল রাস্তার কারণে রুইদাস পাড়া পর্যন্ত পৌঁছতেই পারেনি অ্যাম্বুল্যান্স। কী করবেন, তা ভেবে পাননি গ্রামবাসীরা। বেশ খানিকক্ষণ পর তাঁদের মাথায় নতুন এক ভাবনার উদয় হয়। তাঁরা ঠিক করেন খাটের ডুলি বানিয়ে বাপন রুইদাসকে বাড়ি থেকে প্রায় আধ কিলোমিটার রাস্তা দূরে অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। যেমন ভাবনা, সেরকম কাজ। এরপর সেভাবেই অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এরপর অ্যাম্বুল্যান্সে করে প্রথমে তাঁকে সোনামুখী ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শনিবার বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। সেদিনই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও একই সমস্যায় হয় গ্রামবাসীদের।
স্থানীয়দের দাবি বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ব্লকের হদলনারায়ণপুর গ্রামের হাইস্কুল মোড় থেকে রুইদাস পাড়া পর্যন্ত প্রায় পাঁচ মিটার রাস্তার অবস্থা বহুদিন ধরেই বেহাল। কাঁচা রাস্তা দিয়ে এমনি সময়ে যাতায়াত করা বড় কঠিন। তার উপর লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে তো কথাই নেই। রাস্তা কার্যত গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। রাস্তা ঠিক থাকলে বাপনের এমন অবস্থা হত না বলেই দাবি গ্রামবাসীদের। রাস্তার বেহাল দশার কথা মেনে নিয়েছে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। দ্রুত ওই রাস্তা পাকা করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.