Advertisement
Advertisement

Breaking News

Durga Puja 2021

Durga Puja 2021: স্বপ্নাদেশে পাওয়া দ্বিভুজা দুর্গামূর্তি গড়ে পুজো করেন চাঁদ সদাগরের বংশধররা

৩০০ বছর ধরে বনগাঁয় কমলেকামিনীর পুজো চলে আসছে।

Durga Puja 2021: Descendants of Chad Sadagar worship Durga with two hands in Bongaon | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 2, 2021 5:21 pm
  • Updated:October 2, 2021 5:21 pm

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: অবহেলা ভরে মা মনসার পুজো করেছিলেন চাঁদ সদাগর। কিন্তু আজীবন শিবের পূজারির স্মৃতি বিজড়িত বনগাঁয় (Bongaon) কিন্তু দেবী দুর্গার স্বপ্নাদেশ পেয়েই শুরু হয় দশভুজার আরাধনা। স্বপ্নে পাওয়া দেবীমূর্তির আদলে মূর্তি বানিয়ে প্রায় ৩০০ বছর আগে পুজো শুরু করেন চাঁদ সওদাগরের বংশধররা। বর্ধমানের বৈচি গ্রামে প্রথম শুরু হয় কমলেকামিনী দুর্গাপুজো (Durga Puja)। 

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁদ সওদাগর বাণিজ্য করতে যাওয়ার পথে প্রবল ঝড় বৃষ্টির চলাকালীন সমুদ্রের মধ্যে দেবীর দর্শন পেয়েছিলেন৷ পরে এক রাজা তাঁর সেই গল্প শুনে দেবীকে দর্শন করতে চান। রাজা চাঁদ সওদাগরকে নিয়ে সমুদ্র ভ্রমণে গেলেও দেবী দেখা দেননি। তখন রাজা বন্দি করে রেখেছিলেন চাঁদ সওদাগরকে।

Advertisement

Advertisement

পরে চাঁদের ছেলে সুমন্ত বড় হয়ে বাবার খোঁজে পৌঁছে যায় সেই জায়গায়৷ সুমন্তও সমুদ্রপথে দেবীর দর্শন পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও রাজাকে সেই দেবী দর্শন করাতে পারেননি। ফলে ক্ষুব্ধ সেই রাজা সুমন্তকে যখন মাঝ সমুদ্রে ফেলে দেন, তাঁকে উদ্ধার করেন দেবী দুর্গা। বৃদ্ধ বিশ্বনাথ দাঁ বলেন, “সেই থেকেই এই বংশের সদস্যরা স্বপ্নাদেশ পেয়ে অসুরবিহীন দুর্গা প্রতিমার পুজো শুরু করেন। এখানে দেবীর দশ হাত নয়, দুটি হাত। একহাতে সুমন্ত, অন্য হাতে পদ্ম। সুমন্তকে সমুদ্র থেকে উদ্ধারের সময়ের সেই রূপই প্রতি বছর দুর্গামূর্তিতে ফুটে ওঠে।

[আরও পড়ুন: মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে নিজের সংসদীয় কেন্দ্র বসিরহাটে নুসরত, হিঙ্গলগঞ্জে জনসংযোগ]

দাঁ পরিবারের বৃদ্ধা গৃহবধূ কল্যানী দাঁ জানালেন, ”জন্মাষ্টমীর দিন থেকে প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয়। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত কুমড়ো, আঁখ, বলি হয়। এলাকার প্রচুর মানুষ মানত করেন। দণ্ডি কেটে বুক চিরে রক্ত দেন। অষ্টমীতে এলাকার প্রচুর মানুষ প্রসাদ খেতে হাজির হন।” বর্তমান প্রজন্মের তাপস দাঁ’র কথায়, “অষ্টমী, নবমীতে এলাকার কয়েকশো মানুষ আমাদের বাড়িতেই থাকেন, খাওয়াদাওয়া করেন৷ দশমীর দিন আদিবাসীদের কাঁধে চড়ে এলাকা পরিক্রমা পর দাঁ বাড়ির পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার নিয়ম পালন করা হয়।” ভাসানের পর সেই কাঠামো তুলেই পরের বছরের পুজোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

[আরও পড়ুন: ‘ডিভিসির ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত’, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ